আলোর যুগ স্পোর্টসঃ ৩ উইকেটে ২৮৭ রান—আইপিএলের ইতিহাসে দলীয় সর্বোচ্চ রানের নতুন রেকর্ড গড়ল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ৩৯ বলে সেঞ্চুরি করেন ট্রাভিস হেড যা আইপিএলের ইতিহাসে চতুর্থ দ্রুততম, সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে আইপিএলে দ্রুততম। ৮ ছক্কা ও ৯ চারে ৪১ বলে ১০২ রান করা হেড পরের ওভারে আউট হলেও বোঝা যাচ্ছিল আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় রানের রেকর্ডটি আজ ভেঙে যেতে পারে। শেষ পর্যন্ত ঘটলও সেটাই!
পর্বতসম এই রান তাড়া করতে নেমে ভালো শুরু পেয়েও পারেনি বেঙ্গালুরু। ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৬২ রান তুলে থামে ফাফ ডু প্লেসির দল। ২৫ রানে জিতেছে সানরাইজার্স। এই জয়ে ৬ ম্যাচে মোট ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চারে উঠে এল সানরাইজার্স। ৭ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানিতে বেঙ্গালুরু।
রেকর্ড গড়া সংগ্রহের পিছু ছুটতে নেমে প্রত্যাশিত শুরু পেয়েছিল বেঙ্গালুরু। ৬.২ ওভারে ওপেনিং জুটি ভাঙার আগে ৮০ রান তুলে ফেলে দলটি। ২০ বলে ৪২ রান করা বেঙ্গালুরু ওপেনার বিরাট কোহলি ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ মায়াঙ্ক মারকান্দের বলে আউট হন। এরপর বেঙ্গালুরুর রানের গতি কমার পাশাপাশি ১০ ওভারের মধ্যে উইকেটও পড়েছে আরও চারটি। উইল জ্যাকস, রজত পাতিদার ও সৌরভ চৌহানরা রান পাননি। ৪ ছক্কা ও ৭ চারে ২৮ বলে ৬২ রান করা ডু প্লেসিও আউট হন। ষষ্ঠ উইকেটে মহীপাল লোমরোর ও দিনেশ কার্তিক ২৫ বলে ৫৯ রানের জুটি গড়ে চেষ্টা করেছিলেন। তবে তাতে শুধু হারের ব্যবধানই কমেছে। ১৫তম ওভারে এই জুটি ভাঙার পর ওই ওভার শেষে জয়ের জন্য শেষ ৩০ বলে ১০১ রানের ‘অসম্ভব’ লক্ষ্য ছিল বেঙ্গালুরুর সামনে। বাকিটা কার্তিকের একার লড়াই।
১৭তম ওভারে দুটি ছক্কা, ১৮তম ও ১৯তম ওভারে একটি করে ছক্কা মেরেছেন কার্তিক। নটরাজনের করা ১৯তম ওভারে চার-ছক্কাসহ একাই ১৪ রান তোলার পর পঞ্চম বলে আউট হন কার্তিক। ৭ ছক্কা ও ৫ চারে সাজানো তার ৩৫ বলে ৮৩ রানের ইনিংসটি বেঙ্গালুরু সমর্থকেরা মনে রাখবেন অনেক দিন।
চার-ছক্কার বৃষ্টিতে মোট ৫৪৯ রানের এই ম্যাচও অনেক দিন মনে রাখবেন দর্শকেরা। আর এবারের আইপিএল এরই মধ্যে স্মরণীয় হয়ে গেল অন্য এক কারণে। আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তিনটি দলীয় সংগ্রহ যে দেখা গেল এবারের মৌসুমেই!
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ: ২০ ওভারে ২৮৭/৩ (হেড ১০২, ক্লাসেন ৬৭, সামাদ ৩৭*, অভিষেক ৩৪, মার্করাম ৩২*; ফার্গুসন ২/৫২, টপলি ১/৬৮, উইল ০/৩২, দয়াল ০/৫১)
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু: ২০ ওভারে ২৬২ /৭ (কার্তিক ৮৩, ডু প্লেসি ৬২, কোহলি ৪২, লোমরোর ১৯, পাতিদার ৯, উইল ৭; কামিন্স ৩/৪৩, মায়াঙ্ক ২/৪৬, ভুবনেশ্বর ০/৬০, নটরাজন ১/৪৭)
ফল: সানরাইজার্স ২৫ রানে জয়ী।