আলোর যুগ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে গোপন বৈঠক করার অভিযোগে ৫ প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও এক সহকারী শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একই কারণে ১০ প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে পরিবর্তন করেছে রিটানিং কর্মকর্তা। সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় জেলা প্রশাসকের হল রুমে আয়োজিত সংবাদ সন্মেলনে জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন। এ ঘটনায় ৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় রবিবার রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার কাদাই এলাকার একটি রিসোর্টের অভ্যন্তরে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার তালিকাভুক্ত কতিপয় প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের জন্য গোপন বৈঠক করছেন। সংবাদ পাওয়ার পরই সেখানে পুলিশ, জেলা প্রশাসন ও নির্বাচন অফিসের সমন্বয়ে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে তাদের পাওয়া যায়নি। অভিযানকালে ঘটনাস্থল থেকে সিসি টিভির ফুটেজ ও ওই প্রতিষ্ঠানের কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের থানায় নিয়ে আসা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল জানান, সিসিটিভির ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে সোমবার দিনভর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৫ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও এদের মাস্টার মাইন্ডকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। তবে কোন প্রার্থীর পক্ষে গোপন বৈঠক করা হচ্ছিল সে বিষয়টি আরো তদন্তের পর জানানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সংবাদ সন্মেলনে রিটারিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে ৮জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ২০জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনার পর ইতোমধ্যে ১০জন প্রিজাইর্ডি কর্মকর্তাকে বদল করে নতুন ১০জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।