আলোর যুগ স্পোর্টসঃ কেশভ মহারাজ ও কাগিসো রাবাদার বোলিংয়ের সামনে মলিন হয়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের স্বপ্ন। আর ধারাবাহিকতা ধরে রেখে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টানা দশম সিরিজ জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ম্যাচ ড্র হলেও গায়ানায় শেষ টেস্টে ৪০ রানের জয় পেয়েছে প্রোটিয়ারা। এই ম্যাচে মোট ৫ উইকেট শিকার করে টেস্ট ইতিহাসে দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে সফল স্পিনার এখন মহারাজ। ১৭১ উইকেট নিয়ে হিউ টেফিল্ডকে (১৭০) ছাড়িয়ে গেছেন তিনি। প্রোভিডেন্স স্টেডিয়ামে তৃতীয় দিনে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেটে ২২৩ রান নিয়ে খেলা শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। পরে আর ২৩ রান যোগ করে ২৪৬ রানেই গুটিয়ে যায়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ৬১ রানে ছয়টি উইকেট নেন জেডেন সিলস।
২৬৩ রানের লক্ষ্য পেয়ে শুরুটা একদমই ভালো হয়নি ক্যারিবিয়ানদের। টপ অর্ডারে আঘাত হানেন রাবাদা ও ভিয়ান মুল্ডার। এরপর মিডল অর্ডার গুঁড়িয়ে দিতে রাবাদার সঙ্গে হাত মেলান ডেন পিয়েড। যার ফলে ১০৪ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে স্বাগতিকরা। তবে সপ্তম উইকেট জুটিতে হাল ধরেন জশুয়া দা সিলভা (২৭) ও গুদাকেশ মোতি (৪৫)। বিপর্যয় ঠেলে জয়ের পথেই এগোচ্ছিলেন তারা। কিন্তু তখনই দক্ষিণ আফ্রিকার ত্রাণকর্তা হয়ে আসেন মহারাজ। পরপর দুই ওভারে দুই ব্যাটারকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন বাঁহাতি এই স্পিনার। ভাঙেন ৭৭ রানের জুটি।
শেষ দিকে দারুণ বোলিং করতে থাকা রাবাদা নেন শামার জোসেফের উইকেট। এরপর জেডেন সিলসকে ফিরিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২২২ রানে গুটিয়ে দেন মহারাজ। রাবাদার মতো তিনিও শিকার করেছেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট। তাছাড়া দুই ম্যাচে ১৩ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা হয়েছেন এই স্পিনার। ৬ উইকেট ও ৩৪ রান করে ম্যাচসেরা হন মুল্ডার। এদিকে এই ম্যাচে ডাক মেরেছেন ১১ জন ব্যাটার। যা যৌথভাবে কোনো টেস্টে সর্বোচ্চ ডাক মারার রেকর্ড। এর আগে ১৩টি টেস্টে একই ঘটনা ঘটেছিল।