আলোর যুগ প্রতিনিধিঃ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গীর তুরাগ নদীর উপর নির্মিত বেইলি ব্রিজ ভেঙে ট্রাক পড়েছে নদীর পানিতে। এ ঘটনায় পাথর বোঝাইকৃত ট্রাকের চালকসহ দুজন আহত হয়েছেন। তবে তাৎক্ষণিক আহতদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। ঘটনাটি ঘটে গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত তিনটায়। এছাড়া পাশের দুটি বেইলি ব্রিজও ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। এ ঘটনায় যানবাহন চলাচল ও সাধারণ মানুষের পারাপারে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। ওই লেনে চলাচলকারীদের বিকল্প পথে চলাচলের অনুরোধ করেছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে ঢাকা থেকে একটি পাথরবোঝাই ড্রাম্পট্রাক টঙ্গীর তুরাগ নদীর উপর বেইলি ব্রিজটি পার হচ্ছিলো। এ সময় ট্রাকটি ব্রিজের মাঝখানে এলে ব্রিজটি ভেঙে পাথর বোঝাইকৃত ওই ট্রাক ও সিএনজি নিচে পড়ে যায়। পরে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে সিএনজি ও ট্রাকচালককে উদ্ধার করেন। ঘটনার পর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ ঢাকা থেকে গাজীপুরগামী সকল যানবাহনকে রাজধানীর উত্তরা থেকে বিআরটি প্রকল্পের উড়াল সেতু ব্যবহারে নির্দেশনা দেন।
বেইলি ব্রিজের পাশেই চা দোকানি মনসুর বলেন, শুক্রবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে হঠাৎ বিকট শব্দ শুনতে পাই আমরা। পরে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে বেইলি ব্রিজটি ভেঙে তুরাগ নদীতে একটি পাথরবোঝাই ট্রাক পড়ে থাকতে দেখি। এ সময় ট্রাকের চালক ও অপর একজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক (টঙ্গী জোন) জাফর আহমেদ বলেন, তুরাগ নদীর উপর তিনটি বেইলি ব্রিজের মধ্যে দুইটি ব্রিজ দিয়ে যানবাহন চলাচল করতো। একটি ভেঙে যাওয়ায় অপরটি দিয়ে গাজীপুর থেকে রাজধানীতে প্রবেশ করলেও রাজধানী থেকে গাজীপুরগামী যানবাহনকে বিআরটি প্রকল্পের উড়াল সেতু ব্যবহার করতে হবে। তবে যানবাহন ঢাকা থেকে গাজীপুর ও গাজীপুর থেকে ঢাকায় প্রবেশ করতে পারছে না। কামারপাড়া-টঙ্গী অংশে জোড় ইজতেমাকে কেন্দ্র করে ১৪৪ ধারা জারি করায় সড়কটিতে ভারী যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এব্যাপারে সড়ক ও জনপদের টঙ্গী সড়ক বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘গত কয়েক বছর আগে তুরাগ নদীর উপর তিনটি বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। দুটি দিয়ে ভারী যানবাহন ও ভেঙ্গে পড়া ব্রিজটি দিয়ে হালকা ও জনসাধারণের পাঁয়ে হেঁটে চলাচলের জন্য নির্মাণ করা হয়। গত কয়েক মাস যাবৎ ঢাকা থেকে গাজীপুরগামী একটি বেইলিব্রিজে যানচলাচল বন্ধ করে দেয় বিআরটি প্রকল্পের সংশ্লিষ্টরা। এতে ঢাকা থেকে গাজীপুরগামী যানবাহন ওই ব্রিজ দিয়ে পারাপার হতো। ইতিপূর্বে আমরা যানবাহনের চালকদের সতর্ক করে মহাসড়কের পাশে একটি নির্দেশনা বোর্ড ঝুলিয়েছিলাম। তারা নির্দেশ না মানায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ব্রিজ তিনটি নির্মাণের পর আমরা বিআরটি প্রকল্পের কাছে হস্তান্তর করি। তবে দেখভালের দায়িত্বে উভয়েই রয়েছে।’