আলোর যুগ প্রতিনিধিঃ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেছেন, একটা বিপ্লবের পরে কোনো কিছুই আর কাঠামোগতভাবে চলে না। আমরা সিস্টেমটা এখনো বজায় রেখেছি এবং আমরা প্রত্যাশা করি, আপনারা আমাদের সহযোগিতা করবেন। যদি সিস্টেম ভাঙার প্রয়োজন পড়ে, আমরা সিস্টেম ভাঙবো। প্রয়োজনে নতুন নিয়োগ দিয়ে এই জায়গাগুলোতে নতুন লোকদের বসাবো’। শনিবার সকালে চট্টগ্রাম বিভাগ ও জেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে মতবিনিময় সভায় এ সব কথা বলেন আসিফ মাহমুদ।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘টাস্কফোর্স বা ভোক্তা অধিকার-আপনারা কয়টা অভিযান পরিচালনা করেছেন, কি পরিমাণ কাজ করেছেন সে বিষয়ে আমি কিছুই পাইনি। আমাকে বাণিজ্য সচিব তিনদিনের টাস্কফোর্সের প্রতিবেদন পাঠিয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, আমি সেই প্রতিবেদনে একদিন চট্টগ্রামের নাম পেয়েছি, বাকি দুইদিন আপনাদের নামই নেই। ৪০-৪৫টা জেলার মধ্যে টাস্কফোর্সের অভিযান চলেছে। কিন্তু চট্টগ্রামে তিনদিনের মধ্যে দুইদিনই আসলে কোনো অভিযান হয়নি। আমার মনে হয়, এই জায়গায় আপনাদের সদিচ্ছার ঘাটতি আছে কিংবা সরকারের প্রতি অসহযোগিতার একটা ব্যাপার আছে’।উপদেষ্টা বলেন, ‘এখনো আপনাদের অসহযোগিতার কারণে যে স্থবিরতা আছে এটার জন্য গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত আমাদের সর্বশেষ ক্যাবিনেট মিটিংয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের হয়তো অনেক কঠিন কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে।
সিন্ডিকেট ভাঙতে কঠোর হওয়ার নির্দেশ দিয়ে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা থাকার পরও যদি আপনারা করতে না পারেন তাহলে নতুনদের আমরা নিয়ে আসি। আপনাদের রেখে আমরা কি করবো? দ্রব্যমূল্য নিয়ে আপনারা বলছেন ভোক্তা অধিকারের আইন কঠোর না, কিন্তু আমাদের তো বিশেষ ক্ষমতা আইনে আটকের বিধান আছে। তাহলে সিন্ডিকেটে যারা আছে, তাদের বিশেষ ক্ষমতা আইনে নিয়ে আসতে হবে’। এ সময় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম উপস্থিত ছিলেন।