আলোর যুগ প্রতিনিধিঃ আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী ও দেশটির বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এবং রিপালিকান প্রার্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে প্রচারণার সময় ট্রাম্প এলোমেলো বক্তৃতা দেওয়ায় তার কিছু উপদেষ্টা ও মিত্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
২০২০ সালের নির্বাচনের শেষ সপ্তাহগুলোতে ট্রাম্পের প্রচারাভিযান দোদুল্যমান রাজ্যগুলোর সম্ভাব্য ভোটারদের ওপর জরিপ করা হয়েছিল। সেই সময় তারা যে রাজনৈতিক বার্তা দিয়েছিলেন, তা পরে সত্যি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সেই সময় এক বার্তায় বলেছিলেন, করোনাভাইরাস মহামারীকে ট্রাম্প প্রচারণার সময় কীভাবে ভুলভাবে উপস্থাপন করেছিলেন, ভোটাররা সে বিষয়ে বলেছেন এবং হোয়াইট হাউসে তাকে অযোগ্য ঘোষণা করেছেন। যারা জরিপ করেছেন, তারা ভাইরাস সম্পর্কে তার মিথ্যা দাবিসহ এক ডজনেরও বেশি এলোমেলা বার্তা দিয়েছিলেন। বর্তমানে ট্রাম্পের কয়েকজন উপদেষ্টা ও মিত্র ব্যক্তিগতভাবে জানান, ট্রাম্পের এলোমেলো কথায় চার বছর আগের পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি হতে পারে ভেবে উদ্বিগ্ন তারা।
ট্রাম্প এরই মধ্যে একটি পডকাস্টে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। ওই সাক্ষাৎকারে অভিবাসন, অর্থনীতিসহ বিভিন্ন প্রসঙ্গ উঠে আসে। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়েছেন তিনি। যদিও ওই পডকাস্টে ট্রাম্প ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার জন্য ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, জেলেনস্কি হলেন আমার দেখা সবচেয়ে সেরা বিক্রয়কর্মী। যতবার তিনি আসেন, আমরা তাকে ১০ হাজার কোটি ডলার করে দিয়ে দিই। ইতিহাসে আর কে এভাবে অর্থ পেয়েছেন? এ নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছেন ট্রাম্প। এদিকে নির্বাচন সামনে রেখে সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগা ভোটারদের কাছে টানার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কমলা। বুধবার দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য উইসকনসিনে সমাবেশ করেছেন তিনি।
বিভিন্ন জরিপ অনুসারে, জাতীয়ভাবে ও গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে এখন পর্যন্ত ট্রাম্পের চেয়ে সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে আছেন কমলা। উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের লা ক্রসে শহরে সমাবেশে অংশ নেন কমলা। সেখানে তিনি বলেন, আমরা প্রচারণার একেবারে শেষ ধাপের কাছাকাছি চলে এসেছি এবং শেষ পর্যন্ত এটি একটি হাড্ডাহাড্ডি প্রতিযোগিতা হতে যাচ্ছে। ট্রাম্প একজন খামখেয়ালি মানুষ। ওভাল অফিসে আবারও তার পদচিহ্ন পড়লে এর পরিণতি খুব বাজে হবে। উইসকনসিনের সবচেয়ে বড় শহরগুলোর একটি গ্রিন বে। বুধবার সেখানেও সমাবেশ করেছেন কমলা। তিনি উইসকনসিনের তরুণ ভোটার ও শ্রমিকদের সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করছেন।