আলোর যুগ প্রতিনিধিঃ চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার কালচোঁ গ্রামের চা দোকানি আবুল কাশেম (৬৫) ৫০০ টাকার নোট ভাংতি নেই বলায় বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে চুলার কেটলিতে থাকা চায়ের গরম পানি ঢেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি থানার মো: বাবুলকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। শনিবার দুপুরে আসামি বাবুলকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে থানা পুলিশ চাঁদপুর আদালতে পাঠিয়েছে। বাবুল সোনাইমুড়ি থানার আমকি গ্রামের পাঠান বাড়ির মৃত লোকমান হোসেনের ছেলে। হত্যার শিকার আবুল কাশেম শাহরাস্তি উপজেলার কালচোঁ গ্রামের বাসিন্দা এবং ওই গ্রামের রাস্তার পাশের চা দোকানি।
পুলিশ জানায়, গত ১০ ফেব্রুয়ারি সকালের দিকে আবুল কাশেম তার দোকান খুলে বসেন। এসময় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি মো: বাবুল ও তার সহযোগী দু’জন বাইকযোগে ওই চা দোকানে বসেন। তারা তিনজন ওই দোকানে চা পান করেন এবং চা পান করা অবস্থায় সিগারেট খান। তারা বিল প্রদানকালে দোকানি আবুল কাশেমকে ৫০০ টাকার নোট দেন। এত সকালে ৫০০ টাকার নোট ভাংতি নেই বললে তাদের সাথে তর্কবিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে আসামি বাবুলসহ তিনজন দোকানির মাথায় আঘাত করে এবং চুলার কেটলিতে থাকা চায়ের গরম পানি শরীরে ঢেলে চলে যায়।
এই অবস্থায় আবুল কাশেম চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৪ ফেব্রুয়ারি সকাল ৬টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এঘটনায় দোকানির ছেলে মো: শরীফ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তের জন্য থানা পুলিশ পরিদর্শক মো: মফিজুল ইসলামকে দায়িত্ব দেয়া হয়। তদন্তকালীন সময়ে তিনি তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামি ঘটনার দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন মর্মে নিশ্চিত হন।
এরপর শুক্রবার নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি থানা পুলিশের সহযোগিতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আসামি বাবুলের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। বাবুল পুলিশের জিজ্ঞাবাদে ঘটনা স্বীকার করেন এবং তার সঙ্গে সহযোগী হিসেবে পলাতক আসামি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি থানার কেগনারখিল গ্রামের পারভেজ এবং চাটখীল থানার ফতেপুর গ্রামের হাবিবুর রহমান ওরপে সোহেলসহ মোটরসাইকেল যোগে শাহরাস্তি থানাধীন কালোচোঁ এলাকায় আসেন। শাহরাস্তি থানার ওসি মো: আলমগীর হোসেন বলেন, আসামিকে চাঁদপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেফতার করার জন্য চেষ্টা অব্যাহত আছে।