আলোর যুগ স্পোর্টসঃ ধারবাহিকভাবে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণে এবং বার্সাতেই নিজের জাত চেনানোয় অনেকে লিওনেল মেসির সঙ্গে লামিনে ইয়ামালের তুলনা করতে শুরু করেছেন। এমনকি ভাবা হচ্ছে, একসময় মেসিকেও ছাড়িয়ে যাবেন তিনি। কিন্তু ইয়ামাল নিজে অতদূর ভাবছেন না। তার মতে, মেসির পর্যায়ে পৌঁছানো অসম্ভব।
মেসির সঙ্গে তুলনা করায় অবশ্য কিছুটা খুশিই ইয়ামাল। কিন্তু তিনি নিজে বাস্তবতা বুঝেই পরিণত উত্তর দিয়েছেন। স্প্যানিশ টিভি চ্যানেল আন্তেনা থ্রি-কে তিনি বলেন, ‘আমি মেসি না, ইয়ামাল হতে চাই। ইতিহাসের সেরা মেসির সঙ্গে তুলনা আমি পছন্দ করি, কিন্তু মেসির পর্যায়ে পৌঁছানো অসম্ভব।’
মাত্র ১৭ বছর বয়সেই ইয়ামাল বিশ্বের বড় বড় ফুটবল তারকাদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছেন। গত অক্টোবরে লা লিগার ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে গোল করার কীর্তি গড়েছেন। সবচেয়ে কম বয়সে ইউরো খেলার রেকর্ডও এখন তার দখলে। বার্সার হয়ে লা লিগা, স্পেনের হয়ে ইউরো জেতার স্বাদও পেয়ে গেছেন। এখন সামনে অফুরন্ত সম্ভাবনা আছে তার।
ইয়ামালের সঙ্গে মেসির সম্পর্ক অবশ্য অনেক পুরনো। ২০০৭ সালে এক ফটোশুটে দুজনকে একসঙ্গে দেখা যায়। ওই সময় ইয়ামালের বয়স মাত্র ৬ মাস। এক প্রতিযোগিতায় জিতে একটি চ্যারিটি ক্যালেন্ডারে মেসির সঙ্গে জায়গা করে নিয়েছিলেন ইয়ামাল। ওই ঘটনা নিয়ে ইয়ামাল বলেন, ‘সে (মেসি) তার নিজের কিছু ক্ষমতা আমাকে দিয়েছিল। আমার এখনও অনেক কিছু দেওয়ার আছে।’
গত ইউরোর সেমিফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে তার গোলে সমতা ফিরিয়েছিল স্পেন। পরে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে আসরের চ্যাম্পিয়ন হয় স্প্যানিশরা। এরপর ট্রান্সফার মার্কেটে ইয়ামালের মূল্য বেড়ে দাঁড়ায় ১২০ মিলিয়ন ইউরোয়। কিন্তু এ নিয়ে কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই ইয়ামালের। জানিয়ে দিলেন, ‘আমি ওই ১২০ মিলিয়ন ইউরো চাই না, কারণ তাহলে আমাকে বার্সা ছাড়তে হবে। আশা করি এমনটা হবে না। আমি বার্সা ছেড়ে যেতে চাই না, আমি (বার্সার) কিংবদন্তি হতে চাই।’