আলোর যুগ প্রতিনিধিঃ ফেনীতে দেখা দিয়েছে তীব্র বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সংকট। চরদিকে বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্যের জন্য হাহাকার। কিছু এলাকা থেকে পানি কমলেও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। গতকাল রাত থেকে দাগনভূঞা উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি অবনতির দিকে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর লালপুল থেকে চট্টগ্রামের বারাইয়ার হাট পর্যন্ত এখনও কোমর পানি।
মহাসড়কে তৃতীয় দিনের মতো যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। রেললাইন তলিয়ে থাকায় বন্ধ রয়েছে তৃতীয় দিনের মতো রেল চলাচল। মহাসড়কের লেমুয়া ব্রীজ ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানাগেছে। যেকোন মুহূর্তে বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে। শহর, সদর, সোনাগাজী ও দাগনভূঞার মানুষের পরিজন তাদের পানিবন্দি থেকে উদ্ধারের জন্য আকুল মিনতি করছে। পাওয়া যাচ্ছে না কোন রকম সহযোগিতা।
পরশুরাম ও ফুলগাজী থেকে পানি অনেকটাই নেমে গেছে। ফেনী শহর থেকে ধীর গতিতে কিছু পানি কমলেও এখনও সকল বাড়ি ঘর পানির নিচে তলিয়ে আছে। শহরের সড়কগুলো এখনও বুক ও গলা পানির নিচে। বাসা বাড়ি থেকে কেউ বের হতে পারছে না। সদর উপজেলার পানি এখনও অপরিবর্তীত। এখন ফেনীতে নেই মোবাইল নেটওয়ার্ক। প্রায় পুরো জেলায় নেই বিদ্যুৎ সংযোগ।
পানিবন্দিদের বিমান বাহিনী হেলিকপ্টার থেকে কিছু শুকনো খাওয়ার দেয়া হয়েছে। জেলা বিশেষ করে শহরে দেখা দিয়েছে প্রকট খদ্য সংকট। হঠাৎ শহর বন্যা কবলিত হওয়ায় প্রায় প্রতিটি বাসায় তীব্র খাদ্য সংকট ও পানি সংকট দেখা দিয়েছে। পানি না থাকায় পয়ঃনিষ্কাশন সহ যাবতীয় কাজ করতে পারছে না। পরশুরাম ও ফুলগাজীর বন্যার পানি কমছে বলে জানা গেছে। তবে পুরো জেলায় বন্যা পরিস্থিতে অবনতির দিকে। ফেনী শহর এখনও পানির নিচে।