আলোর যুগ প্রতিনিধিঃ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হচ্ছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এছাড়া এই সরকারের আর কারা থাকবেন, তা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। মঙ্গলবার রাতে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং তিন বাহিনী প্রধানের সঙ্গে বৈঠক শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
এ বৈঠকে শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারে আর কারা থাকবেন তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। বঙ্গভবন গেটে নাহিদ ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে তারা (ছাত্র-জনতার পক্ষে) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ড. মুহম্মদ ইউনুসের নাম প্রস্তাব করেছেন। রাষ্ট্রপতি সম্মতি দিয়েছেন- ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অন্য সদস্যদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা প্রাথমিক একটি তালিকা ইতোমধ্যে দিয়ে এসেছেন, যেখানে নাগরিক সমাজসহ ছাত্র প্রতিনিধিরা রয়েছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা তাদের তালিকা নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন। এর মাধ্যমে তালিকা চূড়ান্ত করবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে নাহিদ বলেন, ১০ থেকে ১৫ জনের একটি প্রাথমিক তালিকা দিয়েছি। সে তালিকা চূড়ান্ত করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রকাশ করা হবে। আরেক প্রশ্নের জবাবে এ সমন্বয়ক আশা প্রকাশ করেন, আনুমানিক ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হবে। ছাত্র-জনতার প্রস্তাবিত সরকারই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হবে, বঙ্গভবন থেকে সমন্বয়কদের এ নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে বলে জানান নাহিদ।
দীর্ঘ সময়ের এ বৈঠকে বর্তমান পরিস্থিতি এবং অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে জানান নাহিদ ইসলাম। ছাত্র-জনতা ট্রাফিকের কাজ করছেন, মন্দির পাহারা দিচ্ছেন- বৈঠকে রাষ্ট্রপতি এবং তিন বাহিনী প্রধান এর প্রশংসা করেন বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, সরকারি স্থাপনা, রাষ্ট্রীয় সম্পদ, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে রক্ষা করতে হবে। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে পুনর্গঠনের মাধ্যমে দ্রুতই শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা হবে।
সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে নাহিদ বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ফিরে আসা না পর্যন্ত আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। যেকোনও ধরনের নাশকতা, লুটপাট যাতে না হয়, ছাত্র-জনতাকে পাহারা দিতে হবে, সতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে। তিনি আরও বলেন, সবাই মিলে ছাত্র-জনতার দেশ গঠনের মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করব।