Sunday, November 24, 2024
Homeজাতীয়বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীরা শ্রীলঙ্কার মত তাণ্ডব সৃষ্টি করতে চেয়েছিল: প্রধানমন্ত্রী

বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীরা শ্রীলঙ্কার মত তাণ্ডব সৃষ্টি করতে চেয়েছিল: প্রধানমন্ত্রী

আলোর যুগ প্রতিনিধিঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সাম্প্র্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীরা দেশে শ্রীলঙ্কা টাইপ তাণ্ডব সৃষ্টির চেষ্টা করতে চেয়েছিল এবং তারা সরকার উৎখাতের পরিকল্পনা করেছিল। তিনি বলেন, ‘তারা (বিশৃঙ্খলাকারীরা) তো আসলে শ্রীলঙ্কার মতো সহিংসতা এবং সরকার উৎখাতের পরিকল্পনা করেছে।”

আজ বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নাঈমুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। শেখ হাসিনা বলেন, কোটা সংস্কারকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক আন্দোলন মোটেও স্বাভাবিক আন্দোলন নয়, বরং এক পর্যায়ে তা প্রায় সন্ত্রাসী হামলায় পরিণত হয়।

তিনি বলেন, ‘এটা কোন সাধারণ আন্দোলন ছিল না। এটা এক পর্যায়ে প্রায় সন্ত্রাসী আক্রমণের মতো হয়ে যায়।’ এসময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, এ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাম্প্রতিক সহিংসতায় জীবন ও সম্পদহানির কথা দুঃখের সঙ্গে উল্লেখ করেন জানিয়ে তার প্রেস সচিব বলেন, এ সময় ভারতের হাই কমিশনার বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সহিংসতায় জীবন ও সম্পদহানির ঘটনায় শোক জানান। ধারাবাহিকভাবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসাকে স্বাগত জানান প্রণয় ভার্মা।

ভারতের হাইকমিশনার বলেন, ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হিসেবে ভারত সব সময় বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের ভিশন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধিকে সমর্থন করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফর প্রসঙ্গে প্রণয় ভার্মা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক সফল সফর অর্থবহ ফলাফল অর্জন করেছে এবং যা অতীতের অর্জনকে সুসংসহত করেছে এবং ভবিষ্যতে সহযোগিতার একটা ব্লু-প্রিন্ট সৃষ্টি করেছে।

হাইকমিশনার বলেন, দুই দেশের যে জাতীয় ডেভেলপমেন্ট ভিশন- ‘বাংলাদেশের ২০৪১ এবং ভারতের ২০৪৭’ ভিশনের ভিত্তিতে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক সহযোগিতার একটা নতুন যুগে প্রবেশ করেছে। ডিজিটাল ও গ্রিন অংশীদারিত্ব, স্যাটেলাইটের যৌথ উন্নয়ন, ব্লু ইকোনোমি, ওশানোগ্রাফি, ফিনটেকসহ নতুন নতুন ক্ষেত্রে সহযোগিতা হবে। আঞ্চলিক কানেকটিভিটি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, চার দেশের (বাংলাদেশ, ইন্ডিয়া, নেপাল ও ভুটান) মধ্যে কানেকটিভিটি জোরালো করার জন্য আমার সব দরজা খোলা।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments