আলোর যুগ প্রতিনিধিঃ কোটা সংস্কার আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত থাকার সন্দেহে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থীদের মারধর করেছে বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা৷সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত বিজয় একাত্তর হলের প্রবেশদ্বারে এই ঘটনা ঘটে৷ হল শাখা ছাত্রলীগের হাতে আহত এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি টিএসসি থেকে হলে আসছিলাম। তারপর ছাত্রলীগ আমাকে হল গেটে আটকায় এবং আমার মোবাইল চেক করে। তারপর তারা আমার মেসেঞ্জারে গিয়ে আর্কাইভ সেকশন চেক করে। সেখানে আমাদের ডিপার্টমেন্টের একটি ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ গ্রুপ দেখতে পেয়ে আমাকে মারধর করতে থাকে৷ আমাকে পেছন থেকে বাঁশ ও লাঠি দিয়ে মারতে শুরু করে।’
এই ঘটনা নিয়ে বিজয় একাত্তর হলের প্রাধ্যক্ষ আবদুল বাছির এর সাথে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও কয়েকজন সাংবাদিক কথা বললে তিনি বলেন, “আসলে ছাত্রদের এ বয়সে রক্ত গরম থাকে, তাই হয়ত তারা এ কাজ করেছে। আমি তাদেরকে বুঝানোর চেষ্টা করছি।” এছাড়াও বিজয় একাত্তর হলের মারধরের ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরেছে। সেখানে দেখা যায় কয়েকজন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী মিলে একজনকে মারধর করছেন। জানা যায়, যেসকল শিক্ষার্থীই সন্ধ্যার পরে হলে ঢুকে তাদের ফোন চেক করা হয়, জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। যদি কোটা সংস্কার আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ততা পাওয়া যায় বা সন্দেহ হয় ঐ শিক্ষার্থী আন্দোলনে গিয়েছিল তাহলে তাকে মারধর করা হয়।
হলের শিক্ষার্থীদের এমন প্রবেশ করার সময় মারধর করা হচ্ছে বিষয়টি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে জানালে ১১ টা ৪০ এর দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল, প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শীতেশ চন্দ্র বাছার, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতিসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা কর্মচারী বিজয় একাত্তর হলে আসেন। এসময় তাকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পরা ভিডিওটি দেখানো হয়। ভিডিওটি বিজয় একাত্তর হলের হলেও সেখানে উপস্থিত থাকা বিজয় একাত্তর হলের প্রাধ্যক্ষ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সেটি অস্বীকার করেন। তখন উপাচার্য হলের প্রাধ্যক্ষ ও আবাসিক শিক্ষকদের সতর্ক থাকার কথা বলেন।