আলোর যুগ স্পোর্টসঃ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটের লড়াইয়ে মুখোমুখি দুই পরাশক্তি ইংল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (২০ জুন) ভোর সাড়ে ৬টায় সেন্ট লুসিয়ার গ্রোস আইলেটের ড্যারেন স্যামি ন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের সামনে ১৮১ রানের বড় টার্গেট দিয়েছে স্বাগতিকরা।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করেন দুই ক্যারিবীয় ওপেনার ব্রেন্ডন কিং ও জনসন চালর্স। মার্ক উডের করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে চড়াও হওয়ার ইঙ্গিত দেন চার্লস। পরের ওভারেই রিচ টিপলির ওভারে একটি করে চার ও ছক্কায় আসে ১২ রান।
খানিকবাদেই রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফিরে যান কিং। ক্রিজে আসেন নিকোলাস পুরান। পাওয়ার প্লে’তে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ দাঁড়ায় বিনা উইকেটে ৫৪ রান। আক্রমণের ধার বজায় রেখে চার-ছক্কা আর স্ট্রাইক রোটেশনে রানের চাকা সচল রাখেন চার্লস ও পুরান। তবে পাওয়ার প্লে’র পর কিছুটা স্লো ব্যাটিং করেন চার্লস। তাতে ১০ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ দাঁড়ায় বিনা উইকেটে ৮২ রান।
পাওয়ার প্লে’র পর থেকেই ধুঁকছিলেন চার্লস। বেশ নড়েবড়ে মনে হচ্ছিলো তাকে। স্পিনার মঈন আলী ১২তম ওভারে আক্রমণে আসতেই উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে আসেন ক্যারিবীয় ওপেনার। মঈন আলীকে উড়িয়ে মারতে গিয়েছিলেন চার্লস। তবে ব্যাটে-বলে ঠিক মিললো না। লং অনে দারুণ এক ক্যাচ নেন হ্যারি ব্রুক।
চার্লসের বিদায়ে ক্রিজে আসেন অধিনায়ক পাওয়েল। পুরান ও পাওয়েল মিলে দলীয় রান একশর ঘর পার করেন। ধীরে ধীরে চড়াও হতে শুরু করেন দুজন। তবে এই জুটি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ১৫তম ওভারের শেষ বলে লিয়াম লিভিংস্টোনকে মারতে গিয়ে মার্ক উডের তালুবন্দি হন ১৭ বলে ৫ ছক্কায় ৩৬ রান করা পাওয়েল।
এর মধ্যে অবশ্য একটি রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলেন পাওয়েল। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে কোনো দলের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ছক্কা হাঁকানোর রেকর্ডে গেইলকে ছাড়িয়ে যান এই বাঁহাতি। দেশের হয়ে বিশ ওভারের ক্রিকেটে পাওয়েলের ছক্কা এখন ৩২টি। যা ক্রিস গেইলের থেকে ১টি বেশি। ভারতের বিপক্ষে ৩৫টি ছক্কা হাঁকিয়ে সবার উপরে পুরান।
পাওয়েলের বিদায়ে ক্রিজে আসেন আন্দ্রে রাসেল। এর খানিকবাদেই সাজঘরে ফিরে যান ৩২ বলে ৩৬ রান করা পুরান। আন্দ্রে রাসেল ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই ফিল সল্টের ক্যাচ বানিয়ে তাকে ১ রানে ফেরান আদিল রশিদ।
এরপর জুটি বাঁধেন শেরফান রাদারফোর্ড ও রোমারিও শেফার্ড। দুজনের জুটিটা শুরু হয় ধীরগতিতে। তবে রাদারফোর্ড একটু আক্রমণাত্মক হয়ে খেলেন। ইনিংসের শেষ ওভারে তাদের সামনে ছিল জোফরা আর্চারের চ্যালেঞ্জ। তাতে মোটামুটি উতরে যান রাদারফোর্ড। এক ছক্কায় আর্চারের ওভার থেকে ১২ রান তোলেন তিনি। তাতেই ভালো সংগ্রহ পায় ক্যারিবীয়রা।