আলোর যুগ প্রতিনিধিঃ টানা তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। আজ রবিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি ভবনে হতে চলেছে এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। জানা গেছে, মোদির তৃতীয় মেয়াদের এই সরকারে ৭৮ থেকে ৮১ জন মন্ত্রী থাকতে পারেন। তবে সবাই আজ শপথগ্রহণ করবেন না। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, আজ প্রায় ৩০ জন মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে পারেন। মোদির পর আজ স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা, অর্থ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়া মন্ত্রীরা শপথ নেবেন বলে জানা গেছে।
এর আগে জেপি নাড্ডার বাসভবনে বিজেপির শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বসে শরিক দলগুলো মন্ত্রণালয় বণ্টন নিয়ে দর কষাকষি করেছিল বলে খবর মিলেছে। জানা গেছে, রেল মন্ত্রণালয় নিয়ে বেশ টানাটানি চলছে। এছাড়াও স্পিকার পদের জন্য দাবি জানিয়েছে জেডিইউ এবং টিডিপি। এসবের মাঝেই জানা যাচ্ছে, শিক্ষা, সংস্কৃতি, তথ্যসম্প্রচার, সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বিজেপি নিজের কাছেই রাখতে পারে এবারও।
প্রতিবেদনে দাবি করা হচ্ছে, টিডিপির রাম মোহন নাইডু, হরিষ বালাযোগী, দাগ্গুমালা প্রসাদরা মোদি ক্যাবিনেটে ঠাঁই পেতে পারেন। এদিকে প্রতিবেদন অনুযায়ী, লোকসভার স্পিকারের পদও চেয়েছেন চন্দ্রবাবু। এদিকে নীতীশ কুমারের দলের লালন সিং এবং রাম ঠাকুর এবারে মোদি মন্ত্রিসভায় স্থান পেতে পারেন বলে দাবি করা হচ্ছে প্রতিবেদনে।
ওদিকে এলজেপির চিরাগ পাসওয়ানকেও ক্যাবিনেট মন্ত্রী করা হতে পারে। এদিকে একনাথ শিন্ডের শিবসেনাকে একটি মন্ত্রণালয় দেওয়া হতে পারে এবার। অপরদিকে জনসেনার প্রতিষ্ঠাতা পবন কল্যাণকে মন্ত্রী করার বিষয়ে আগ্রহী বিজেপি। তবে তিনি নিজে মন্ত্রী না হলে তার দলের কোনও সাংসদকে হয়তো মন্ত্রী নাও করা হতে পারে। এছাড়া গত মোদি সরকারে মন্ত্রী থাকা আপনা দল নেত্রী অনুপ্রিয়াকে এবারও মন্ত্রী করা হতে পারে।
উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের পর ভারতীয় জনতা পার্টি একক বৃহত্তম দল হিসেবে আবির্ভূত হয়। তবে গতবারের তুলনায় বিজেপি অনেক কম সংখ্যক আসন পেয়েছে ২০২৪ সালের নির্বাচনে। এবারের ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে ৩২টি আসন কম পেয়েছে বিজেপি। এই আবহে মোদির ৩.০ সরকার টিকিয়ে রাখতে চন্দ্রবাবু নাইডু এবং নীতীশ কুমারের সমর্থন অত্যাবশ্যক হয়ে পড়েছে।