আলোর যুগ স্পোর্টসঃ ম্যাচ শুরু হতেই নিজেদের জাল থেকে বল কুড়িয়ে আনতে হলো। সেই ধাক্কা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে অবশ্য একদমই বিলম্ব করল না স্পেন। প্রতিপক্ষের জালে প্রথমার্ধেই চারবার বল পাঠিয়ে নিয়ন্ত্রণ নিল ম্যাচের। বাকি সময়েও চাপ ধরে রেখে, নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে ইউরোর অভিযানে নামার আগে আত্মবিশ্বাস বহুগুনে বাড়িয়ে নিল লুইস দে লা ফুয়েন্তের দল।
ঘরের মাঠে শনিবার (০৮ জুন) রাতে শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে পেদ্রির জোড়া গোলে ৫-১ ব্যবধানে জিতেছে স্পেন। বাকি তিন গোলদাতা আলভারো মোরাতা, ফাবিয়ান রুইস ও মিকেল ওইয়ারসাবাল। ইউরোর আগের দুই প্রস্তুতি ম্যাচের প্রতিটিতে পাঁচটি করে গোল করল সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। গত সপ্তাহে অ্যান্ডোরাকে ৫-০ গোলে হারিয়েছিল তিনবারের ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা।
ম্যাচের প্রথম মিনিটেই পাওয়া কর্নার থেকে এগিয়ে যায় সফরকারীরা, হেডে গোলটি করেন ড্যানিয়েল ব্যালার্ড। এই ধাক্কা সামলে উঠতে অবশ্য মোটেও বেগ পেতে হয়নি স্পেনকে। আক্রমণের ঝড় তুলে আধা ঘণ্টার মধ্যে প্রতিপক্ষের জালে তিনবার বল পাঠায় তারা। দ্বাদশ মিনিটে ডি-বক্সের অনেক বাইরে থেকে আচমকা শটে সমতা টানেন পেদ্রি। ছয় মিনিট পর ডান দিক থেকে হেসুস নাভাসের বাড়ানো দারুণ ক্রসে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন মোরাতা। আর ২৯তম মিনিটে সতীর্থের কাটব্যাক পেয়ে প্লেসিং শটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন বার্সেলোনা মিডফিল্ডার পেদ্রি। খানিক পর ব্যবধান আরও বাড়িয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় স্প্যানিশরা। খুব কাছ থেকে চতুর্থ গোলটি করেন রুইস।
৫৩তম মিনিটে মোরাতার বদলি হিসেবে নামার সাত মিনিটের মধ্যে জালের দেখা পান ওইয়ারসাবাল। গত সপ্তাহে অ্যান্ডোরার বিপক্ষে বিরতির পর বদলি নেমেই হ্যাটট্রিক করেছিলেন রেয়াল সোসিয়েদাদ ফরোয়ার্ড। পুরো ম্যাচে ৭৫ শতাংশের বেশি সময় বল দখলে রেখে গোলের জন্য ১৯টি শট নেয় স্পেন, লক্ষ্যে থাকে আটটি। আরও কয়েকটি পরিষ্কার সুযোগ নষ্ট না হলে ব্যবধান বাড়তে পারতো আরও।
স্কোরলাইন আরও বড় করতে না পারলেও তিন দিনের ব্যবধানে দুই ম্যাচে ১০ গোল করা, বিপরীতে মাত্র একটি হজম; ইউরোর আগে নিশ্চিতভাবেই প্রস্তুতিটা দুর্দান্ত হলো সবশেষ ২০১২ আসরের চ্যাম্পিয়নদের। জার্মানিতে অনুষ্ঠেয় এবারের ইউরো শুরু হবে আগামী ১৪ জুন। কঠিন গ্রুপে পড়েছে স্পেন। আগামী শনিবার ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে যাত্রা শুরু হবে তাদের। ‘বি’ গ্রুপের অন্য দুই দল গতবারের চ্যাম্পিয়ন ইতালি ও আলবেনিয়া।