আলোর যুগ প্রতিনিধিঃ ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলায় আরও ৩৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৩৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। ইসরায়েলি বর্বর এই হামলায় নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
বার্তাসংস্থা আনাদোলুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের অক্টোবর থেকে চলা বিরতিহীন ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে ৩৬ হাজার ৫০ জনে পৌঁছেছে। অবরুদ্ধ ভূখণ্ডটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সোমবার এই জানিয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, গত বছরের অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৮১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।
মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, ইসরায়েলি বাহিনী গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় পরিবারগুলোর বিরুদ্ধে সাতটি ‘গণহত্যা’ চালিয়েছে। এতে ৩৩ জন নিহত এবং আরও ৩৮৩ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন। উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।
গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
ইসরায়েলি আক্রমণ গাজা শহর ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন। এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।