আলোর যুগ স্পোর্টসঃ পেশাদার ফুটবল লিগে বসুন্ধরা কিংস শিরোপা জিতে ট্রফিও ঘরে তুলেছে। তবে ২৯ মে এবিজি বসুন্ধরা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের পর্দা নামবে। বসুন্ধরা কিংস অ্যারিনায় শুধু ঘরোয়া আসর নয়, বাংলাদেশ জাতীয় দলের খেলাও অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আফগানিস্তান, মালদ্বীপ, ফিলিস্তিন ও লেবানন এই ভেন্যুতে খেলে গেছে।
আন্তর্জাতিক ক্লাব পর্যায়ে এএফসি কাপে ভারতের বিখ্যাত ক্লাব মোহনবাগান, ওড়িশা এফসি ও মালদ্বীপ চ্যাম্পিয়ন মাজিয়ার খেলা দেখেছে দর্শকরা। এবারে কিংস অ্যারিনায় প্রথমবারের মতো দেখা মিলবে দুনিয়া কাঁপানো বিশ্বকাপ খেলা কোনো দেশের। ৬ জুন ছয়বার বিশ্বকাপে চূড়ান্ত পর্বে খেলা অস্ট্রেলিয়ার ফুটবলাররা খেলতে নামবে কিংস অ্যারিনায়। ২০২৬ সালের বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক বাংলাদেশ।
এর আগে অস্ট্রেলিয়া ঢাকায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে খেলে গেছে। এবার লড়বে কিংস অ্যারিনায়। ফুটবলে এখন সবচেয়ে আলোচিত ভেন্যু কিংস অ্যারিনা। বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার ফিরতি পর্বের ম্যাচ ঘিরে দর্শকদের মধ্যে এখনই উন্মাদনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কেননা কিংস অ্যারিনায় খেলা হলেই দর্শকে গ্যালারি ভরে যায়। বাংলাদেশের হোম ম্যাচ বলেই দেখাশোনার দায়িত্ব স্বাভাবিকভাবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের।
কিন্তু ভেন্যু কিংস অ্যারিনা বলেই বসুন্ধরা কিংসের কর্মকর্তারা আয়োজন সার্থক করে তুলতে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে নিরাপত্তার ব্যাপারটি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। দর্শকরা যাতে সহজে টিকিট পেতে পারে তা নিয়েও রয়েছে পরিকল্পনা। বাফুফে সহসভাপতি ও বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসান বলেন, ‘কিংস অ্যারিনায় প্রতিটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ স্বার্থকভাবে আয়োজন হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম ঘটবে না। বিশ্বকাপ খেলা দেশ বলেই দর্শক সমাগম প্রচুর হবে আশা করছি।
শক্তির বিচারে ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার জেতার সম্ভাবনা বেশি। বাংলাদেশ বড় ব্যবধানে হারলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। বাছাইপর্বের প্রথম লেগে মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ০-৭ গোলে হারে জামাল ভূঁইয়ারা। ৬ জুন ব্যবধান বাড়বে না, কমবে এটাই দেখার বিষয়। তবে ড্র করে অস্ট্রেলিয়াকে রুখে দিতে পারলেই তা হবে বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসে বড় প্রাপ্তি। ১১ জুন কাতারে ফিরতি ম্যাচে লেবাননের বিপক্ষে বাংলাদেশ লড়বে। বাংলাদেশ গ্রুপ পর্বে চার ম্যাচে ১ পয়েন্ট নিয়ে সবার নিচে অবস্থান করছে। একমাত্র পয়েন্টটি এসেছিল কিংস অ্যারিনায় লেবাননের সঙ্গে ড্র করে।
১৯৭৪ সালে তৎকালীন পশ্চিম জার্মানিতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো চূড়ান্ত পর্বে খেলে অস্ট্রেলিয়া। ২০০৬, ২০১০, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২২ সালে টানা বিশ্বকাপ খেলে দেশটি। এর মধ্যে ২০০৬ ও ২০২২ সালে জায়গা করে নেয় নকআউট পর্বে। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বর্তমানে তাদের অবস্থান ২৪। অন্যদিকে বাংলাদেশ আছে ১৮৪ নম্বর স্থানে।