
আলোর যুগ প্রতিনিধিঃ নিজ এলাকায় আইনশৃঙ্খলা অবনতির দায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নিতে হবে। কোনো ব্যত্যয় ঘটলে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে তাদের। বাদ যাবেন না তাদের তদারকি কর্মকর্তারাও। কোনো অবহেলার দায় এলে তারাও মুখোমুখি হবেন কঠিন বিভাগীয় শাস্তির। সম্প্রতি রাজধানীতে একের পর এক চাঞ্চল্যকর ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের স্বার্থে থানার ওসি ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
তবে বিশেষ নজরে রাখা হয়েছে তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর এবং আদাবর থানাসহ ডিএমপির ১০টি থানাকে। অন্যদিকে, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ডিএমপির অর্থায়নে স্থাপিত সিসি ক্যামেরাগুলো সচল করতে নির্দেশনা দিয়েছে ডিএমপি সদর দপ্তর। জানা গেছে, গত শুক্রবার রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় ইনকিলাব মঞ্চের শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে খোদ সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে।
ওই ঘটনার পর সরকার এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার শীর্ষ কর্তাব্যক্তিরা দফায় দফায় বৈঠক করে করণীয় ঠিক করছেন। সোমবার গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তি এবং সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের অনুকূলে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স এবং তাঁদের জন্য সশস্ত্র ব্যক্তি (রিটেইনার) নিয়োগ নীতিমালা-২০২৫ জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক অধিশাখা-৪। ডিএমপি কমিশনার বলেছেন, সংশ্লিষ্ট এলাকার অপরাধের দায় ওসিরা এড়িয়ে যেতে পারবেন না। অপরাধ যাতে না ঘটে সেজন্য টহল এবং উঠান বৈঠক অব্যাহত রাখতে হবে।
পোশাকের পাশাপাশি সাদা পোশাকে আগাম তথ্য সংগ্রহের উদ্যোগ নিতে হবে। এসব বিষয় কঠোরভাবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের তদারিক করতে হবে। ব্যত্যয় হলেই বিদ্যমান আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গত শুক্রবার ওসমান হাদির ওপর ন্যক্কারজনক হামলার পর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সরাসরি ফোন করে অধস্তনদের এ বার্তা পৌঁছানোর নির্দেশ দেন শেখ সাজ্জাত আলী।
গতকাল সন্ধ্যায় তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার ইবনে মিজান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ডিএমপি সদর দপ্তর আমার বিভাগের সব সিসি ক্যামেরার বিষয়ে অবগত। ঢাকা মহানগরীর নিরাপত্তা নিশ্চিত ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় চেকপোস্ট কার্যক্রম জোরদার করেছে ডিএমপি। গতকাল এ তথ্য জানান ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
