আলোর যুগ স্পোর্টসঃ চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের শেষটিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে নিয়ে আরও একটা বড় জুটির দিকে এগোচ্ছিলেন কুশল মেন্ডিস। তবে কাটা পড়েছেন নার্ভাস নাইন্টিতে। ইনিংসের ৭২তম ওভারের তৃতীয় বলটি অফ স্টাম্পের বাইরে করেছিলেন সাকিব। সেটি মেন্ডিসের ব্যাটের ওপরের দিকের কানায় লেগে চলে যায় প্রথম স্লিপে দাঁড়ানো মেহেদী হাসান মিরাজের কাছে। ১৫০ বলে করেছেন ৯৩ রান করেছেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার। মেন্ডিস ফেরায় ভাঙে ৫৩ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি।
৭৭ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৭৮ রান তুলেছে শ্রীলঙ্কা। ১৪ রান নিয়ে উইকেটে আছেন দীনেশ চান্দিমাল। অপর অপরাজিত ব্যাটার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের সংগ্রহ ২২ রান। নতুন বলে ভালোই শুরু করেছিলেন হাসান মাহমুদ। একাধিক সুযোগও তৈরি করেছিলেন। তবে ফিল্ডারদের সহযোগিতা পাননি। ক্যাচ মিস না হলে অভিষেক উইকেটের জন্য খুব বেশি অপেক্ষা করতে হতো না হাসানকে। ইনিংসের ৬ষ্ঠ ওভারেই উইকেট পেতে পারতেন হাসান। তার করা বল অফ স্টাম্পের বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার সময় জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে চেয়েছিলেন মাদুশঙ্কা। আউট সাইড এডজে বল যায় স্লিপে দাঁড়ানো মাহমুদুল হাসান জয়ের হাতে। কিন্তু সহজ ক্যাচটি তালুবন্দি করতে পারেননি তিনি।
প্রথম সেশনে আরও একটি সুযোগ তৈরি করেছিলেন হাসান। ইনিংসের ২২তম ওভারে শেষ ডেলিভারিটি বাউন্সার মেরেছিলেন এই পেসার। সেখানে হুক করতে গিয়ে ফাইন লেগে ক্যাচ তোলেন করুনারত্নে। কিন্তু ফিল্ডার সাকিব সীমানা থেকে খানিকটা সামনে থাকায় ক্যাচটি নিতে পারেননি। প্রথম সেশনে বাজে ফিল্ডিংয়ের খেসারত দিয়ে উইকেটশূন্য ছিল বাংলাদেশ। লাঞ্চ বিরতির পর ফিল্ডারদের কল্যাণেই প্রথম উইকেটের দেখা পায় স্বাগতিকরা। ইনিংসের ২৯তম ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজের বল কাভারে খেলেছিলেন করুনারত্নে। এক রান পূর্ণ করার পর দ্বিতীয় রানের জন্য ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন মাদুশঙ্কা। কিন্তু করুনারত্নে সাড়া দেননি। হাসানের দুর্দান্ত থ্রোতে লিটন দাস উইকেট ভাঙার আগে ফেরত যেতে পারেননি মাদুশঙ্কা। তাতে ৫৭ রানে আউট হন এই ওপেনার।
প্রথম সেশনে জীবন পাওয়া করুনারত্নে এগোচ্ছিলেন সেঞ্চুরির পথেই। একই সঙ্গে শ্রীলঙ্কাও হাঁটছিল বড় সংগ্রহের পথে। ৫৬তম ওভারে এই ওপেনারকে থামালেন হাসান মাহমুদ। এই ডানহাতি পেসারের করা অফ স্টাম্পের বাইরের লেংথ বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে ইনসাইড এডজে বোল্ড হয়েছেন করুনারত্নে। ৮৬ রান করে এই ওপেনার ফেরায় ভাঙলো ১১৪ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি। এটি হাসানের প্রথম টেস্ট উইকেট। এই সেশনে দুই উইকেট তুলতে পারায় কিছুটা হলেও স্বস্তি ফেরে টাইগার শিবিরে।