জাভেদ মোস্তফা 🇧🇩
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সাভারের রাজনৈতিক দলগুলো সরব হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী এবং এনসিপি সহ অন্যান্য দলগুলি তাদের সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে। নীতিনির্ধারণী মহল এবং সম্ভাব্য নির্বাচনি মাঠে নজর কাড়তে একক উদ্যোগ সহ দলীয় কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করার চেষ্টা চলাচ্ছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা।
ঢাকা উত্তরের সব চেয়ে গুরুত্বপুর্ন আসন ঢাকা-১৯ (সাভার)। এই আসনে জনমত যাচাইয়ে এখন পর্যন্ত প্রাধান্য বিএনপির। দ্বিতীয় অবস্থানে জামাযেত সহ বিভিন্ন ক্ষুদ্র দল গুলি। এটি ঢাকা জেলায় অবস্থিত জাতীয় সংসদের ১৯২ নং আসন। এই আসনকে ঘিরেই নির্বাচনী হাওয়া বেশ জোড়ে সরে শুরু হয়েছে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে হবে এমনটা ধরে নিয়েই প্রস্তিুতি নিচ্ছেন বিএনপি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো। এ আসনে জামাতের প্রার্ধী চুড়ান্ত হলেও বিএনপি প্রার্থী নিয়ে ধুয়াসা কাটছে না। একাধিক প্রার্থীর পোস্টার ও ব্যানারে ছেয়ে গেছে সাভারের গুরুত্বপূর্ন স্থান ও মহাসড়ক গুলোতে। স্থানীয় বিএনপি দলের অভ্যন্তরীন কোন্দলের কারনে একাধিক প্রার্থী থাকায় এই আসনে প্রার্থী নিয়ে সংকট কাটছে না। তবে প্রচার প্রচারনায় সাবেক সংসদ সদস্য ডা: দেওয়ান মো: সালাউদ্দিন বাবু জনপ্রিয়তায় এগিয়ে আছেন । মিটিং মিছিলে জনতার উপস্থিতি ও তার সমর্থন ও চোখে পড়ার মতো।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল এখনও ঘোষণা না হলেও ঢাকা উত্তরের সাভারের এই আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রচারণা ইতোমধ্যেই জমে উঠেছে। পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীর একক প্রার্থী, এনসিপি (জাতীয় নাগরিক পার্টি) ও কয়েকটি বাম দলের প্রার্থীরাও সক্রিয়ভাবে প্রচারণায় নেমেছেন। বিশেষ করে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ৫/৬ জন নিয়মিত মাঠে অবস্থান করছেন। এ আসনে রাজনৈতিক কর্মীদের তৎপরতা এখন শুধুমাত্র কেন্দ্র্রেই সীমাবদ্ধ নয় নেতা-কর্মীরা ঘরে ঘরে গিয়ে ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
সাভার উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের মধ্যে তিনটি ইউনিয়ন নিয়ে কেরানীগঞ্জ ২ আসন গঠতি হয়েছে। বাকী ৬ টি ইউনিয়নে ঢাকা-১৯ আসনে। মোট ভোটার সংখ্যা ৭ লাখ ৫৬ হাজার ৪১৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৪৬৯ ও নারী ভোটার ৩ লাখ ৬৮হাজার ৯৩৭ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ১৩ জন। এই আসনটি ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার শিমুলিয়া, ধামসেনা, পাথালিয়া, ইয়ারপুর, আশুলিয়া, ও বনগাঁও ইউনিয়ন এবং সাভার ইউনিয়ন ও সাভার পৌরসভা নিয়ে গঠিত।
ঢাকা-১৯ আসনে বিএনপির একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী সক্রিয়ভাবে প্রচারণা চালাাচ্ছেন। তাদের মধ্যে ডা. দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বাবুৃর অবস্থান সব চেয়ে বেশেী। তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য । সাভার আশুলিয়া এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত আছেন এবং বর্তমানে নিয়মিত সভা, উঠান বৈঠক, পথসভা ও গণসংযোগ চালাচ্ছেন। তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। ডা: দেওয়ান সালাউদ্দিন জানান, বিএনপি একটি বড় দল। প্রার্থী সংখ্যা বাড়তেই পারে তবে তিনি বলেন, দীর্ঘ ৩০ বছরের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা নিয়ে এবং তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি আশাবাদী সাবেক সংসদ সদস্য হিসেবে দল তাকেই মনোনয়ন দিবে। তবে বিএনপির মাঠপর্যায়ের নেতারা মনে করেন বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই আসনটি পুনরুদ্ধারে প্রয়োজন অভিজ্ঞ পরিচ্ছন্ন ও গ্রহণযোগ্য নেতৃত্ব। ডা: দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবুর জনপ্রিয়তা বাড়ার কারন হচ্ছে। স্থানীয় ত্যাগী ও জনপ্রিয় নেতারা তাকে সমর্থন দিচ্ছেন। এদের মধ্যে সাভার বিএনপি’র অন্যতম খুটি বিএনপির জনপ্রিয় ত্যাগী নেতা লায়ন খোরশেদ আলম, তার সাথে আছেন আরেক জনপ্রিয় নেতা সাবেক ভিপি বদিউজ্জামান বদির,সাবেক চেয়ারম্যান মাইনুল হোসেন বিপ্লব, সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা, বিএনপি নেতা আহসানউল্লাহ, সাভার পৌর কাউনসিলার আব্দুর রহমান এরা সবাই বলেন, সাভারের জনপ্রিয় নেতা ডা: সালাউদ্দিনই মনোনয়ন পাবেন, তিনি মনোনয়ন পেলে এই আসনটি পুনরুদ্ধার হবে। তবে ডাঃ সালাউদ্দিন বাবু প্রতি সমর্থন নেই সাভরের দুই হেভীওয়েট নেতা সাভার উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সাধারন সম্পাদক মো: কফিলউদ্দিনের। এরা নিজেরাই সংসদ প্রার্থী হিসেবে নিজেদের প্রচারনা চালাচ্ছেন। যদিও তাদের প্রচার প্রচারনা তেমন চোখে পড়ার মতো না। অসহায় মানুষকে পাশে তাদের দেখা যায় না। ৫ আগস্ট পরবর্তী ছাত্র আন্দোলন নিহত আহতদের পাশেও তাদের দেখা যায় নি। তারা এলাকাভিত্তিক প্রচার প্রচারনা ছাড়া ব্যানার পোস্টারের মাধ্যমেই সীমাবদ্ধ। এই দুই প্রার্থী ঢাকা-৩ আসনের প্রার্থী ও সেখানকার স্থানীয় বিএনপির নিকট গ্রহনযোগ্য। শীর্ষ বিএনপির জনপ্রিয় নেতা ও ঢাকা ৩
আসনের প্রার্থী আমানউল্লাহ আমানের নির্বাচনি প্রচারনায় তাদের দেখা যায়।
তবে স্থানীয় মাঠ পর্যায়ের বিএনপি নেতারা বলেন, মনোনয়ন যেনিই পাবেন সকল নেতারা এক হয়ে কাজ করবেন শুধু দরকার ঐক্যের। এ অবস্থায় বিএনপির জন্য এখন বড় চ্যালেঞ্জ প্রার্থী বাছাই। কারণ ৫ আগস্ট অভ্যুত্থানের পর বিএনপির হয়ে নির্বাচন করতে আগ্রহী অসংখ্য প্রার্থী ইতোমধ্যে গণসংযোগে নেমেছেন। যদিও বিএনপির হাইকমান্ড উপযুক্ত প্রার্থী বাছাইয়ে ইতোমধ্যে দফায় দফায় জরিপ চালাচ্ছেন। সূত্র বলছে, মনোনয়নের ক্ষেত্রে ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের বর্তমান অবস্থান পর্যালোচনা করবে বিএনপি। এজন্য প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে নীতি হিসাবে তিনটি যোগ্যতাকে অন্যতম মানদন্ড হিসাবে সেট করা হয়েছে।এই যোগ্যতাগুলো যাদের নাই তারা বাদ পড়বেন মনোনয়ন তালিকা থেকে। এগুলো হলো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াই-সংগ্রামে দেশ ও দলের যে প্রার্থী সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছেন। দ্বিতীয়ত, যিনি সততার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং এলাকার জনগণের কাছে একজন ভালো মানুষ হিসাবে সুপরিচিত। তৃতীয়ত, ভোটের রাজনীতিতে যিনি তার নির্বাচনি এলাকায় বেশি জনপ্রিয়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ত্যাগী, সৎ-যোগ্য ও সর্বোপরি জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য প্রার্থীকেই বেছে নিতে পারেন বলে ধারণা দলীয় নেতা কর্মীদের।
সাভার উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জামাল সরকার নিজেকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরছেন এবং বিভিন্ন দলীয় সভা-সমাবেশে অংশ নিচ্ছেন। তিনি ছিলেন সাভার উপজেলা যুবদলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি,সাভার উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে সাভার উপজেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ঢাকা জেলা বিএনপির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।এই প্রবীণ রাজনীতিবিদ বিএনপির পক্ষ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী বলে জানা যায়। তিনিও দলীয় ও সামাজিক কর্মকান্ডে অংশ গ্রহন করছেন, সাধারণ মানুষ কে দলের কর্মকান্ড সম্বন্ধে ধারনা দিয়ে মনোনয়ন পেতে তাদের সর্ম্থন চালাচ্ছেন। যদিও তিনি বিগত সময় স্থানীয় আওয়ালীগের সাথে সু সম্পর্কে রেখে বিগত সময় নিজ অবস্থান নিরাপদ রেখেচিলেন। সাবেক উপজেলা চেয়ারময়ান রাজিব ও তার ভাই তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান সমরের সাথে সখ্যতা বজায় রেখে তাদের অনুষ্ঠানে যোগ দিতেন। পাশাপাশি সাভার উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী মে: কফিলউদ্দিন ও এই আসন থেকে মনোনয়ন এর টিকিট পাবেন বলে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।তিনি দুই দুইবার সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারময়ান নির্বাচিত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের আমলে তিনি কখনো আপস করেন নি। এ জন্য তাকে অনেক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। বিএনপির কিছু উচ্চ পর্যেয়ের নেতাদের সাথে তার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ থাকায় অনেকেই তার মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে আশাবাদী আছেন।
ঢাকা জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব খান বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রচার প্রচারণার পাশাপাশি অন্যান্য কর্মকান্ডে সময় পার করছেন তিনি, দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী বলে জানান। অপর দিকে সাবেক ছাত্রদল নেতা ও জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদুল আহসান রাশেদ সহ একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী নিজেদের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে মাঠপর্যায়ে তৃণমূল কর্মীদের নিয়ে মতবিনিময় করছেন ও প্রচারণা চালাচ্ছেন।
এ অবস্থায় বিএনপির জন্য এখন বড় চ্যালেঞ্জ প্রার্থী বাছাই। কারণ ৫ আগস্ট অভ্যুত্থানের পর বিএনপির হয়ে নির্বাচন করতে আগ্রহী একাধিক প্রার্থী গণসংযোগে নেমেছেন।
এই আসনে ঢাকা জেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক মো: আফজাল হোসাইনকে একক প্রার্থী ঘোষণা করেছে দলটি। তিনি ধর্মীয় অঙ্গনে সুপরিচিত। ইতো মধ্যে ইমাম, খতিবসহ ধর্মীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময়, হাটবাজারে প্রচারণা এবং ধর্মীয় সভায় অংশ নিচেছন। জামাতের আমির শফিকুর রহমান সহ স্থানীয় নেতাদের দাবী আমাদের প্রার্থী সৎ ও নীতিবান। ভোটাররা সৎ রাজনীতিকেই সমর্থন করলে আমাদের প্রার্থর বিজয় হবে। এর আগে এই আসনে ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার বিজয়ের পর স্থানীয় জনপ্রিয় জামাত নেতা ও সাবেক কাউন্সেলার মো: হাসান মাহবুব কে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, মো. আফজাল হোসাইন একজন সৎ পরিক্ষতি ও জনপ্রিয় নেতা। দল নানান দিক বিবেচনা করেই তাকে পরবর্তিতে মনোনয়ন দিয়েছে। এই আসনে আমরা তাকে বিজয়ী করে আনতে পারবো বলে আমার বিশ্বাস।
গণ অধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে মনোনীত ঢাকা-১৯ আসনের প্রার্থী ও আহব্বায়ক এডভোকেট শেখ শওকত হোসেন । ঢাকা জেলা গণ অধিকার পরিষদ থেকে রাজনৈতিক জীবনে তার পদার্পণ, শেখ শওকত সৎ ও যোগ্য ব্যক্তি সর্বদা সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ান, দলে থাকার পুর্বেও নানা ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করেছেন,নিরাপরাধ মানুষ কে বিনামূল্যে আইনি সহায়তা প্রদান করে। সে যদি সংসদ সদস্য হতে পারে তবে এই আসনে আইন শৃংখলা রক্ষায় ব্যাপক ভূমিকা পালন করতে পারবে বলে মনে করছেন অনেকে।
বরাবরের মতোই দরিদ্র ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে সহায়তা প্রদান এবং বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে তিনি নিজের জনসমর্থন বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। বিশেষ করে ২৪-এর জুলাই আন্দোলনে নিহত এবং আহতদের পরিবারকে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে আর্থিক ও স্বাস্থসেবা দিয়ে সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি। নিজের পরিচছন্ন ইমেজের কারণে আগামী নির্বাচনেও দলীয় মনোনয়নে বিজয়ী হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
সাভার বর্তমানে সামাজিক ও বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রচার প্রচারনা সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জাতীয় নাগরীক পার্টি(এনসিপির) নেতাদের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। সাভার এই আসনের মনোনয়ন প্রার্থী জুলকার নাইন বলেন, আমরা আমাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। আগামী সংসদীয় নির্বাচনে ঢাকা-১৯ আসন থেকে তিনি মনোনয়ন পাবেন বলে আশা করেন। তিনি বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরীক পাটির সমন্বয় প্রতিষ্ঠিত এই এনসিপি দলটি ইতি মধ্যেই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। খুবশিঘ্রই আমরা চুড়ান্ত বিজয়ের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, আমরা ভিন্নি ভিন্ন এলাকায় সংক্ষিপ্ত মতবিনিময়ের মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে সংযোগ রাখছি এবং মূলধারার বাইরে থেকে জনগণের পাশে থাকার রাজনীতি করছি।
সাধারণ মানুষের ধারণা এবারে নির্বাচন অন্যান্য সময়ের তুলনায় অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হবে, ভোটারদের মন জয় করতে না পারলে নির্বাচনে জয়লাভ করা সকল দলের জন্য কঠিন হবে বলে ধারণা তাদের।