Friday, September 12, 2025
Homeঅর্থ-বানিজ্যবাংলাদেশের অর্থনীতি শক্তিশালী করতে চীনে রফতানি বাড়ানো জরুরি : বাণিজ্য উপদেষ্টা

বাংলাদেশের অর্থনীতি শক্তিশালী করতে চীনে রফতানি বাড়ানো জরুরি : বাণিজ্য উপদেষ্টা

আলোর যুগ প্রতিনিধিঃ বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, তৈরি পোশাকসহ অনেক খাতে বাংলাদেশ এগিয়ে থাকলেও সামগ্রিকভাবে পিছিয়ে আছে। বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু হিসেবে চীনে পণ্যের রফতানি বাড়ানো জরুরি। পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশে জ্বালানি, অবকাঠামোসহ উদ্ভাবনী শিল্পে আরও বেশি চীনা বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

শুক্রবার রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) আয়োজিত ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ ইন বাংলাদেশ এক্সিবিশন ২০২৫’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা। এই প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে বাংলাদেশে অবস্থিত চীনের দূতাবাস এবং চায়নিজ এন্টারপ্রাইজ অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশ (সিইএবি)।

এ সময় বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ ইতোমধ্যেই তিনশ শতাংশ বেড়েছে। আমাদের দুর্বলতা খুঁজে বের করতে হবে এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে এগোতে হবে। উৎপাদন ও প্যাকেজিংয়ে চীনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারলে বাংলাদেশ আরও অগ্রগতি অর্জন করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিবছর বিপুল প্রাণহানি ঘটে। অবকাঠামো ও পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নে চীনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো যেতে পারে। ইতোমধ্যেই চীনের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের রফতানি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। চলতি বছরে বাংলাদেশ থেকে চীনে আম রফতানি হয়েছে। আনারস ও পেয়ারা রফতানির বিষয়েও আলোচনা এগোচ্ছে।’

এ সময় তিনি জানান, আগামী রবিবার ট্যারিফ ইস্যুতে আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসবে। অনুষ্ঠানে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ প্রথম দেশ যারা বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে সম্মতি দিয়েছিল। বাংলাদেশের অর্থনীতির অগ্রযাত্রায় চীন সহযোগী হতে চায়। এই প্রদর্শনী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে এবং নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও ইআরডি প্রধান মিনারা মাহরুখ, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সবুর হোসেন এবং সিইএবি প্রেসিডেন্ট হান কুন। দুই দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী চলবে ১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। এতে বাংলাদেশের আটটি এবং চীনের ৩২টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments