Sunday, August 17, 2025
Homeআন্তর্জাতিক৪৪তম বিসিএসে নিজ বিভাগে শিক্ষা ক্যাডারে শীর্ষস্থান অর্জন করেছেন মোহাম্মদ উল্লাহ।

৪৪তম বিসিএসে নিজ বিভাগে শিক্ষা ক্যাডারে শীর্ষস্থান অর্জন করেছেন মোহাম্মদ উল্লাহ।

জাভেদ মোস্তফা 🇧🇩

৪৪তম বিসিএসে নিজ বিভাগে শিক্ষা ক্যাডারে শীর্ষস্থান অর্জন করেছেন মোহাম্মদ উল্লাহ।

ভালবাসার বন্ধনে প্রিয় জনের সাথে মোহম্মদ উল্লাহ

শিক্ষা ক্যাডারেই আবেদন করে ফলাফলও পেয়েছেন তিনি, সেটাই ছিল তার একমাত্র স্বপ্ন। যেখানে বিসিএস পরীক্ষার্থীরা সাধারণত একাধিক ক্যাডার পছন্দ করেন নিজ ভবিষ্যত সুরক্ষিত রাখার জন্য, সেখানে মোহাম্মদ উল্লাহ একটি মাত্র অপশন নিয়েই এগিয়েছেন শিক্ষা ক্যাডারে। গত ৩০ জুন প্রকাশিত ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফলে তিনি রসায়ন বিষয়ে শিক্ষা ক্যাডারে শীর্ষস্থান অর্জন করেছেন বলে অভিনন্দিত হয়েছেন সকল স্বজন ও বন্ধু মহল থেকে। যদিও সম্মিলিত গেজেট এখনো প্রকাশিত হয়নি তবে ফল বিশ্লেষণ করে বিষয়ভিত্তিক অবস্থান স্পষ্ট হয়েছে।

বর্তমানে তিনি ঢাকা সেনানিবাসের আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজে রসায়নের প্রভাষক হিসেবে কর্মরত আছেন। মোহাম্মদ উল্লাহ শিক্ষকতা পেশার প্রতি নিষ্ঠা, মেধা ও শ্রমের এক অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ৯১তম ব্যাচ (২০১১–১২ সেশন)-এর কৃতী শিক্ষার্থী ছিলেন।

এর আগে তিনি শিক্ষকতা করেছেন নির্ঝর এবং বিএএফ শাহীন কলেজে। শিক্ষার্থীদের প্রতি তাঁর নিবেদন ছিল অসামান্য। অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়া,ব্যক্তিগতভাবে শিক্ষার্থী গাইড করা, এমনকি ছুটির দিনেও পড়ানো তাঁর অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল। এই সাফল্যর পর তিনি এই প্রতিবেদক কে বলেন,
আমি শিক্ষা ক্যাডার ছাড়া কিছু ভাবিনি। শিক্ষা আমার কাছে পেশা নয় দায়িত্ব।
বাংলাদেশের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা নানা সংকটে জর্জরিত মানহীন পাঠদান, শিক্ষক সংকট, মেধাবীদের অন্য পেশায় ঝুঁকে পড়া এর অন্যতম কারণ। এরকম প্রেক্ষাপটে মোহাম্মদ উল্লাহর মতো ব্যক্তি, যিনি প্রশাসন কিংবা জনপ্রিয় ক্যাডারের মোহ ত্যাগ করে শুধুমাত্র শিক্ষা ক্যাডারকে বেছে নিয়েছেন, তাঁরা আমাদের সমাজের জন্য অনুপ্রেরণা। তাঁর সাফল্য শুধু ব্যক্তিগত নয় এটি শিক্ষার মর্যাদা রক্ষার এক বাস্তব উদাহরণ।

তিনি বলেন,প্রতিটি সাফল্যের পেছনে থাকে নীরব এক সংগ্রাম। স্বপ্ন পূরণ হয়, পথ সম্মান পায়, নীরব অধ্যবসায় একদিন আলো ছড়ায়।
শিক্ষা ক্যাডারে মেধাতালিকায় কেমিস্ট্রি তে প্রথম হয়ে সুপারিশ প্রাপ্ত হওয়ার পর স্বজনদের অভিমত, শিক্ষকতাই তার একমাত্র ধ্যানজ্ঞান আর সবকিছু।
বর্তমানে তিনি আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজে রসায়নের প্রভাষক হিসেবে কর্মরত আছেন।
তার একজম নিকট আত্নীয় সাভার ড্যাফোডিল ইন্টারনাল্যশনাল ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ফয়জুন্নেসা চৌধুরী বলেন, তার একমাত্র ছোট বোনের জীবনসঙ্গী তিনি।
আমাদের পরিবারের সকলের স্নেহধন্য এই ব্যাক্তি তার সংগ্রাম আর নীরব অধ্যবসায় এবং নিরলস শ্রমের সাফল্যের সাথে আজ সে স্বার্থক।

Congratulation Mohammad Ullah.

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments