Wednesday, June 18, 2025
Homeখেলাচ্যাম্পিয়নস লিগে বার্সা-ইন্টারের রোমাঞ্চকর ড্র

চ্যাম্পিয়নস লিগে বার্সা-ইন্টারের রোমাঞ্চকর ড্র

আলোর যুগ স্পোর্টসঃ ছয় বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে ফিরেছে বার্সেলোনা। প্রতিপক্ষ এমন একটি দল, যারা শেষ তিন ম্যাচে হেরে কিছুটা কোণঠাসা। কিন্তু তারপরও জয় আসেনি, ম্যাচটি ড্র হয়েছে। দারুণ দৃঢ়তা দেখিয়ে বার্সেলোনার মাঠ থেকে সমতা নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ইন্টার মিলান।

বুধবার রাতে মন্তুজুইকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগের ম্যাচে ইন্টার মিলানের সঙ্গে ৩-৩ গোলে ড্র করেছে বার্সেলোনা। ইন্টারের হয়ে জোড়া গোল করেছেন ডেঞ্জাল ডামফ্রিস, অপর গোলটি করেন মার্কাস থুরাম। বার্সেলোনার হয়ে একটি করে গোল করেছেন লামিন ইয়ামাল ও ফেরান তোরেস। অপর গোলটি আসে আত্মঘাতীর সুবাদে।

ম্যাচের বয়স যখন ৩০ সেকেন্ড, তখনই ইন্টারের প্রথম গোল আসে মার্কাস থুরামের চমৎকার এক ব্যাকহিল থেকে। বার্সার হাই লাইন ডিফেন্স শুরুতেই আক্রমণ করতে গিয়ে হোঁচট খায়। ডেনজেল দামফ্রিসের ক্রস প্রথম দফায় ব্যর্থ হলেও পরেরবার ঠিকই চলে যায় বার্সা বক্সে। ব্যাকহিল থেকে গোল আদায় করেন থুরাম।

গোল হজম করে খানিক মরিয়াই ছিল বার্সা। লামিনে ইয়ামাল, রাফিনিয়া একক নৈপুণ্যে দলের স্কোরশিট খুলতে চেয়েছিলেন। ফেরান তরেস মিস করেছেন খুব কাছ থেকে। স্বাগতিক বার্সা তখন হতাশায় ডুবছে। সেটা আরো বাড়ালেন দামফ্রিস। ২০ মিনিটে কর্নার থেকে নিকোলাস বারেল্লার হেড পাসে দারুণ একটা ভলি। ইন্টার মিলান এগিয়ে যায় ২-০ গোলে।

কিন্তু বিপরীতে থাকা দলটা যে বার্সেলোনা। চলতি মৌসুমে যারা এখন পর্যন্ত করেছে ৮৯ গোল। মৌসুমের ৯০তম গোলটা তারা পেয়ে গেল এই ম্যাচের ২৪ মিনিটে এসে। ডি-বক্সের বাইরে বল পেয়ে একক নৈপুণ্যে ইন্টারের বক্সে ঢোকেন লামিনে ইয়ামাল। এরপর খানিক জায়গা বানিয়ে ইন্টারের চার ডিফেন্ডারের মাঝে থেকে গোলমুখে শট। স্কোরলাইন হলো ২-১।

এক গোল পেয়ে বার্সেলোনা নিজেকের আক্রমণের ধার বাড়িয়েছিল। সেটার ফলাফল পেতে সময় লেগেছে ১৪ মিনিট। মাঝে ইয়ামালের শট আঘাত করেছিল ক্রসবারে। আর দানি ওলমোকে হতাশ করেছিলেন ইন্টার গোলরক্ষক ইয়ান সোমার। অবশ্য ৩৪ মিনিটে আর হয়নি। সংঘবদ্ধ আক্রমণে গোল আদায় করে নেয় বার্সেলোনা।

ডি-বক্সের বাইরে থেকে মাপা ক্রস ছিল পেদ্রির। সেটাকে হেড দিয়ে ফরোয়ার্ড পাসে পরিণত করেন রাফিনিয়া। ফেরান তরেসের একটাই কাজ ছিল। সেটাই করেছেন। আলতো স্পর্শে বল জড়ান জালে। স্কোরলাইন হলো ২-২। এই গোলে অ্যাসিস্ট করে চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে ২০ গোলে সরাসরি অবদান রেখেছেন রাফিনিয়া। ক্লাব রেকর্ডে পেছনে ফেলেছেন লিওনেল মেসিকে।

দ্বিতীয়ার্ধের একেবারেই শুরুতে ইন্টার মিলানই প্রতিপক্ষকে চেপে ধরে। যদিও ধীরে ধীরে ম্যাচের লাগাম নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় বার্সেলোনাই। যদিও গোলটা তারাই পেয়েছে পরে। ইন্টারের তৃতীয় গোলের একমিনিট পরেই বার্সেলোনা আদায় করে নেয় সমতাসূচক ৩য় গোল। ৬৩ মিনিটে কর্নার থেকে আসা বলে লাফিয়ে হেড করেন ডেনজেল দামফ্রিস। পরের মিনিটেই কর্নার থেকেই পাওয়া দূরাপ্ললার শটে ম্যাচে ৩-৩ সমতা আনেন রাফিনিয়া।

পুরো ম্যাচে বল দখলে পিছিয়ে থাকলেও ইন্টার সুযোগ পেলেই তটস্থ রেখেছে বার্সেলোনাকে। কাতালুনিয়ানদের জালে চতুর্থ গোলও করে বসে তারা ৭৫তম মিনিটে। যদিও দামফ্রিসের ক্রসে হেনরি মিখাতারিয়ানের গোলটা হয়েছে বাতিল। শেষদিকে বার্সেলোনা দুর্দান্ত আক্রমণ করেও অবশ্য আর গোলের দেখা পায়নি। গোলবারও হতাশ করেছে তাদের। শেষ পর্যন্ত ৩-৩ গোলের ড্র নিয়েই মাঠ ছেড়েছে দুই দল। উত্তেজনায় ঠাসা এই সেমিফাইনালের বাকি রোমাঞ্চ তোলা রইল সান সিরোর সেকেন্ড লেগের জন্য।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments