আলোর যুগ স্পোর্টসঃ ১৯৬৫ সালে শুরু ঢাকা প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগের। আবাহনী লিগ খেলছে স্বাধীনতার পর থেকে। তারপর সর্বাধিক ২৩ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ধানমন্ডি পাড়ার দলটি। মোহামেডান ৯ বার এবং বিমান বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ছয়বার।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) প্রচন্ড গরমে বিকেএসপি-৪ নম্বর মাঠে মোসাদ্দেকের আবাহনী ৪ উইকেটে হারিয়েছে নুরুল হাসান সোহানের শেখ জামালকে। এ নিয়ে টানা ১৪ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে খালেদ মাহমুদ সুজনের আবাহনী।
দিনের অপর দুই ম্যাচে বিকেএসপি-৩ নম্বর মাঠে মোহামেডান ৮ রানে শাইনপুকুরকে হারিয়ে রানার্সআপের পথে একধাপ এগিয়েছে। ফতুল্লায় তামিম ইকবালের প্রাইম ব্যাংক ৭ উইকেটে হারিয়েছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরে শেখ জামালের পক্ষে খেলেছেন সাকিব আল হাসান। অনেক দিন পর খেলতে নেমেও রান করেছেন। খেলেছেন ৫৬ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৯ রানের ইনিংস। শেষ দিকে জিয়াউর রহমানের আক্রমণাত্মক ৮৫ রানে ভর করে শেখ জামাল ৯ উইকেটে ২৬৭ রান করে। জিয়া ইনিংসটি খেলেন মাত্র ৫৮ বলে ৬ চার ও ৮ ছক্কায়। আবাহনীর পক্ষে ৩ উইকেট নেন ডান হাতি পেসার তানজিম হাসান সাকিব।
শিরোপা জিততে আবাহনীর টার্গেট দাঁড়ায় ২৬৮ রান। বিকেএসপির ব্যাটিং উইকেটে যা আহামরি নয়। তারপরও শেষ ওভারের রোমাঞ্চে জিতেছে আবাহনী। চ্যাম্পিয়ন হতে শেষ ওভারের আবাহনীর দরকার ৯ রান। ব্যাটিংয়ে অধিনায়ক মোসাদ্দেক ও রাকিবুল হাসান। বোলিংয়ে শেখ জামালের বাঁ হাতি পেসার শফিকুল ইসলাম। ৩৯ রানে ব্যাট করতে থাকা মোসাদ্দেক প্রথম ৪ বলে দুই দুই করে ৮ রান নিয়ে স্কোর সমান করেন।
জয়ের জন্য আবাহনীর দরকার ২ বলে ১ রান এবং হাফ সেঞ্চুরির জন্য মোসাদ্দেকের দরকার বাউন্ডারি। ওভারের পঞ্চম বলটিকে স্ট্রেইট ড্রাইভে ছক্কা মেরে দলকে জয়ী করার পাশাপাশি নিজের হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। ৫৩ রানের অপরাজিত ইনিংসটি খেলেন ৫৪ বলে ৪ ছক্কায়। আফিফ হোসেন ৮৩ রানের ইনিংস খেলেন ৮৮ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব : ২৬৭/৯, ৫০ ওভার (জিয়াউর ৮৫, সাকিব ৪৯, সৈকত ৪১, সোহান ৪১, ইয়াসির ১৭। তানজিম ১০-০-৬২-৩, নাহিদুল ৮-২-৩১-২, রাকিবুল ১০-১-২৯-৩)
ঢাকা আবাহনী লিমিটেড : ৪৯.৫ ওভারে ২৭৩/৬ (আফিফ ৮৩, এনামুল ৬৭, মোসাদ্দেক ৫৩*। শফিকুল ৭.৫-০-৬০-২, সাকিব ১০-০-৩৪-১, রিপন ৬-০-৪০-১, তাইবুর ৯-০-৪৪-১)
ম্যাচের ফল : আবাহনী ৪ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা : মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত