আলোর যুগ প্রতিনিধিঃ ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন করেছে। আগামীকাল রবিবার এই চুক্তি কার্যকর হবে। কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো বুধবার ইসরায়েল ও হামাসের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর ঘোষণা দেওয়ার দুই দিন পর শুক্রবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য ফিলিস্তিনিদের অভিনন্দন জানিয়ে গোষ্ঠীটির প্রধান নাঈম কাসেম বলেছেন, গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি ইসরাইলের বিরুদ্ধে হামাসের ‘অবিচল প্রতিরোধ’র প্রমাণ।
শনিবার এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ প্রধান বলেন, ‘এই চুক্তি, যা ২০২৪ সালের মে মাসে প্রস্তাব করা হয়েছিল, প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর অবিচল অধ্যবসায়কে প্রমাণ করে। তারা যা চেয়েছিল তারা তা-ই অর্জন করেছে। অন্যদিকে ইসরাইল যা চেয়েছিল তা অর্জন করতে সক্ষম হয়নি।’
এদিকে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যদিয়ে গাজায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর ৪৬৯ দিনের আগ্রাসী অভিযান ও হত্যাযজ্ঞের অবসান ঘটতে যাচ্ছে। যেখানে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৭ হাজার নিরীহ ও নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার বেশিরভাগই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন আরও লক্ষাধিক। হাজার হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়। উদ্বাস্তু হয় প্রায় ২০ লাখ। যারা এখন খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছে।
এর আগে গত ২৬ নভেম্বরই লেবাননের সশস্ত্র সংগঠনটির সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই করে ইসরায়েল। যে যুদ্ধবিরতির আগে টানা ১৪ মাস আগ্রাসী ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করেছিল হিজবুল্লাহ।
ইসরায়েলের হামলায় জীবন দিতে হয়েছে সংগঠনটির প্রধান হাসান নাসরুল্লাহসহ শীর্ষস্থানীয় বেশ কয়েকজন নেতাকে। ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংসতায় লেবাননের আরও অন্তত ৩ হাজার ৮০০ নিরীহ মানুষের প্রাণ গেছে। আহত হন প্রায় ১৬ হাজার। বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ১২ লাখ। লড়াইয়ে এক লাখের কাছাকাছি বাড়িঘর ও অন্যান্য স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয় ইসরায়েলি বাহিনী।