আলোর যুগ স্পোর্টসঃ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে শেষ পর্যন্ত ৩-৩ ব্যবধানের ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার সিটি। ম্যাচের আবহ কেমন হতে পারে তার আভাস মিলেছে আগেই। রেফারির বাঁশি আওয়াজের পর থেকেই দেখা গেল সেই উত্তাপ। মাত্র দ্বিতীয় মিনিটে সিটিকে এগিয়ে দিয়ে বার্নাব্যুতে পিনপতন নীরবতা বয়ে আনেন বের্নার্দো সিলভা। ২৫ গজ দূর থেকে জ্যাক গ্রিলিশকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন অরেলিয়ে চুয়োমেনি। কিন্তু তার এই ভুল যে বিপদ ডেকে আনবে তা কে জানত! বাঁ পায়ে নেওয়া নিচু ফ্রি-কিকে সেখান থেকেই মাদ্রিদের জাল কাঁপান সিলভা।
ধাক্কা খেয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর নজির এই চ্যাম্পিয়ন্স লিগেই অসংখ্যবার লিখেছে রিয়াল। তা এবার বাদ যাবে কেন! দুই মিনিটের ব্যবধানে দুই গোলে ম্যাচের নাটাই নিজেদের হাতে নিয়ে ফেলে স্বাগতিকরা। ১২তম মিনিটে বক্সের কিছুটা বাইরে থেকে নেওয়া এদুয়ার্দ কামাভিঙ্গার শট সিটি অধিনায়ক রুবেন দিয়াসের গায়ে লেগে খুঁজে নেয় জালের ঠিকানা। ঠিক এর দুই মিনিট পরই রিয়াল সমর্থকদের ফের উল্লাসে ভাসান রদ্রিগো। ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের দেওয়া পাস থেকে আলতো টোকায় সিটি গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি। ২-১ গোলে এগিয়ে থেকেই প্রথমার্ধ পার করে রিয়াল। যদিও বলের দখল বেশিরভাগ সময়ই ছিল সিটির কাছে।
দ্বিতীয়ার্ধে আরও ধারালো হয়ে আসে সিটি। শুরুতে রিয়াল কয়েকটি আক্রমণ করলেও নুইয়ে পড়েনি সফরকারীরা। ৬৬তম মিনিটে এসে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন ফিল ফোডেন। বক্সের বাইরে থেকে বাকানো শটে সিটিকে সমতায় ফেরান দুর্দান্ত ফর্মে থাকা এই ফরোয়ার্ড। ঠিক পাঁচ মিনিট পরই আরও একটি বাকানো শট, আরও একবার সিটির উল্লাস। এবার গোলদাতা ইয়োস্কো ভার্দিওল। জ্যাক গ্রিলিশের পাস থেকে সিটির জার্সিতে নিজের প্রথম গোলের দেখা পেলেন এই ফরোয়ার্ড।
পিছিয়ে যাওয়ার পরপরই টনি ক্রুসকে উঠিয়ে লুকা মদ্রিচকে মাঠে নামান রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তির। বুড়ো ঘোড়ায় চড়ে রিয়াল যেন আরও একবার ঘুরে দাঁড়ানোর রসদ খুঁজে পেল। মদ্রিচ নামার আক্রমণে গতি বাড়ে তাদের। যার ফল মিলে ৭৯ মিনিটে গিয়ে। মদ্রিচের কাছ থেকে বল পেয়ে ডান প্রান্তে ক্রস করেন ভিনিসিয়ুস। দারুণ ভলিতে সেটিকে গোলে পরিণত ফেদে ভালভার্দে। তাতে বার্নাব্যুও যেন প্রাণ ফিরে পেল।