আশুলিয়ার আল্লাহর দান বিরিয়ানি হাউজ।
স্টাফ রিপোর্টার,সাভার
ঢাকার আশুলিয়ার নরসিংহপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ‘আল্লাহর দান বিরিয়ানি হাউজ’ থেকে জব্দ করা মাংস কুকুরের ছিল না বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।হোটেল মালিককে ব্যাক্তি স্বার্থে ফাসানোর জন্যই পরিকল্পিত ভাবে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছিল।
কেন্দ্রীয় রোগ অনুসন্ধান গবেষণাগারে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এ বিষয়ে প্রতিবেদন দেওয়া হয়। গবেষণাগারের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. গোলাম আজম চৌধুরীর সই করা ওই প্রতিবেদন সাভার উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
গত শনিবার রাতে প্রতিবেদন পাওয়ার বিষয়টি আলোর যুগ কে নিশ্চিত করেছেন সাভার উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো: সাজেদুল ইসলাম।তিনি বলেন, পুলিশের জব্দ করা মাংস ঢাকার পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়। ২৫ দিন পর সেখান থেকে একটি রিপোর্ট এসেছে। তাতে বলা হয়েছে, জব্দ করা মাংস কুকুরের ছিল না। পরে রিপোর্টটি আমরা আশুলিয়া থানায় পাঠিয়েছি।
জানতে চাইলে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুব্রত রায় বলেন, ‘প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় রোগ অনুসন্ধান গবেষণাগারের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা এটি পরীক্ষা-নিরীক্ষ করে রিপোর্ট দিয়েছেন। ওই মাংস কুকুরের না। তবে এগুলো কিসের মাংস সেটাও জানানো হয়নি।’
কেন্দ্রীয় রোগ অনুসন্ধান গবেষণাগারের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. গোলাম আজম চৌধুরী বলেন, ‘মাংসের নমুনা পিসিআর ও মলিক্যুলার টেস্ট করেছি। এ মাংস কুকুরের না।
তবে বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে, সেটি বোভাইন বা তৃণভোজী প্রাণী যেমন- গরু ,ছাগল, মহিষ কিংবা ভেড়ার মাংস। এ চারটি প্রাণীর মধ্যে যেকোনো একটি প্রাণীর মাংস।
জানতে চাইলে ‘আল্লাহর দান বিরিয়ানি হাউজ’ থেকে বলা হয়, ‘আশুলিয়া ও কাশিমপুরে আমাদের মোট সাতটি শাখা ছিল। চক্রান্ত করে কিছু মানুষ আমাদের ফাঁসাতে চেয়েছিলেন। ফলে এখন কাশিমপুরের দুটি শাখা বন্ধ করে দিতে হয়েছে। বাকি পাঁচটি শাখাও বন্ধের পথে। জনপ্রিয় হোটেলগুলো এখন ক্রেতাশূন্য।’
তারা বলেন,এ প্রতিবেদনের মাধ্যমে সত্যের জয় হয়েছে। তবে দোষ না করেও অহেতুক শাস্তি পেলাম আমরা। যারা চক্রান্ত করে আমাদেরকে ফাঁসিয়ে সর্বশান্ত করার চেষ্টা করেছেন, আমরা উপজেলা প্রশাসন ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাদের শাস্তি দাবি করছি।’
গত ১৫ মে আশুলিয়ার নরসিংহপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ‘আল্লাহর দান বিরিয়ানি হাউজ-৫’ নামের একটি হোটেলে কাচ্চি বিরিয়ানিতে কুকুরের মাংস দেওয়া হয়েছে, এমন সন্দেহ থেকে অভিযোগ করেন কয়েকজন ক্রেতা। ঘটনার পর পুলিশ হোটেল মালিক রাজীবকে হেফাজতে নেয়। পরে তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতেও পাঠানো হয়।