Thursday, July 17, 2025
Homeঅপরাধসাভারে নির্যাতনে স্বামীর মৃত্যুর পর অসহায় বৃদ্ধার জমি দখল করতে মারিয়া স্থানীয়...

সাভারে নির্যাতনে স্বামীর মৃত্যুর পর অসহায় বৃদ্ধার জমি দখল করতে মারিয়া স্থানীয় ভুমিদস্যুরা, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি

সাভারে নির্যাতনে স্বামীর মৃত্যুর পর অসহায় বৃদ্ধার জমি দখল করতে মারিয়া স্থানীয় ভুমিদস্যুরা, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি

জাভেদ মোস্তফা 🇧🇩

সাভারে প্রভাবশালীরা একটি অসহায় পরিবারের বিরুদ্ধে বছরের পর বছর মিথ্যে মামলা ও বিভিন্নভাবে হয়রানি মূলক নির্যাতন করে তার জমি দখল করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে করে নির্যাতিত পরিবারের জমির মালিক মারা গেলে অসহায় বৃদ্ধা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। তার স্বজনরা অভিযোগ করেন জমি দকল কারী ভুমিদস্যুরা মানসিক চাপে ফেলে তাকে হত্যা করেছে।
জানা গেছে ১৯৯৭ সালে উপজেলার উত্তর মেইটকা গ্রামের মোঃ শামসুর রহমান ১৩ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। জমি ক্রয়ের পর শামসুর রহমানের নামে যথারিতি নামজারি হয় এবং তিনি জমি দখলে নিয়ে বসবাস করতে থাকেন। জমির মৌজা- বরতৈল, খতিয়ান- আর.এস-৫২, দাগআর.এস- ২৪৫। ২০১২ সালে শামসুর রহমান তার স্ত্রী শামসুন নাহারকে হেবা করে ওই ১৩ শতাংশ জমি লিখে দেন, যার নামজারির খতিয়ান- ১১০৯, বিডিএস খতিয়ান- ৫৮৫, বিডিএস দাগ- ৬৮৪। বর্তমান অবধি খাজনা দিয়ে দখলে আছেন তারা। ঝাউচর বরতৈল বাজার গ্রামের প্রভাবশালীদের নজরে পড়ে ওই জমি। বিভিন্নভাবে জমিটি দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠে তারা। শুরু হয় নানা ধরনের হয়রানি মূলক মামলা ও নির্যাতন। তাদের এমন হয়রানি মূলক ও মানসিক নির্যাতনে ধুকে ধুকে মারা যান শামসুর রহমান। তার মৃত্যুর পর এই সুযোগে ঝাউচর বরতৈল বাজার গ্রামের কছুমদ্দিনের ছেলে মোঃ জহির, ছামির আলীর ছেলে মোঃ সাইফুল ইসলাম, মোজাম্মেলের ছেলে মোঃ এমদাদ, রাজধানীর জিগাতলার মোঃ শরাফত উল্লাহর ছেলে মোঃ নূর নবী, সনাতনগড়ের মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে মোজাম্মেল হোসেন সহ আরো স্থানীয় প্রভাবখাটিয়ে ওই বৃদ্ধার জমি বর্তমানে দখল করতে চেষ্টা করছে। এ বছর তাদের রোপনকৃত পাটশাকের উপর অসৎ উদ্দেশ্যে ধইনচা দানা ছিটিয়ে দেয়, পেয়ারা গাছ, সুপারি গাছ, কাঠ গাছ তুলে ফেলে দিয়ে জমিতে যেতে ভয়ভীতি দেখায়। জমির ওয়াল বাউন্ডারী ভেঙ্গে ফেলে ও তাদের নামীয় সাইনবোর্ডের নাম মুছে দেয়।
অসহায় বৃদ্ধা শামসুন নাহারের ছেলে সামিউর রহমান জানান, এ পর্যন্ত তারা আমার বড় ভাই মোঃ অহিদুর রহমান, আমার মা ও বোন জামাইয়ের নামে মিথ্যে চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে অনেক হয়রানি, অর্থনৈতিক ক্ষতি ও সম্মান হানি করেছে। প্রতিনিয়ত ওই ভূমিদস্যুদের হুমকিতে আমরা পরিবারের সকলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
তার বড় ছেলে অহিদুর রহমান বলেন, আমার বাবা শামসুর রহমান তাদের এরকম হয়রানী মূলক
অত্যাচারে অসুস্থ হয়ে ধুকে ধুকে মারা যায়। তারা আমার পিতার হত্যাকারী। জমিতে আমরা শাকসবজি ও ফসল লাগালে সেগুলো তারা নষ্ট করে দিচ্ছে। তাদের অত্যাচারে আমার মা অত্যাধিক পরিমানে মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে একই কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত।
অসহায় বৃদ্ধা শামসুন নাহার জানান ভূমিদস্যুদের অত্যাচারে আমার স্বামী অসুস্থ হয়ে ধুকে ধুকে
মারা গেছে। এখন এই ভূমিদস্যু জহির, সাইফুল গংদের অত্যাচারে আমি ভিষন অসুস্থ হয়ে পড়েছি । জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে আমি ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছি। আমার স্বামীর সম্পত্তি রক্ষায় এভাবে অত্যাচারের শিকার হচ্ছি। এতো কিছুর পরও এর প্রতিকার পাচ্ছিনা।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জহিরের সাথে কথা বলতে তাঁকে পাওয়া যায়নি। তার মুঠোফোনে কল করলেও তিনি জহির নয় বলে অস্বীকার করেন।
আরেক অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম বলেন, জমি তাদের হলে তারা কাগজপত্র নিয়ে বসে সমাধান করতে পারে। এছাড়া জমির ব্যাপারে আমি কিছু জানিনা। অনতিবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য এলাকাবাসী দাবি জানিয়েছেন।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments