জাভেদ মোস্তফা🇧🇩
অবশেষে নিখোঁজ তিন কিশোরীকে দুই দিন পর সাভারের আশুলিয়া থানাধীন জিরাবো এলাকার একটি বাসা থেকে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আজ সোমবার বিকেলে উদ্ধার করেছে সাভার মডেল থানা পুলিশ। এরা সাভার ইউনিয়নের চাপাইনে বসবাস করতো এবং চাপাইনের মন্জুআরা মাদ্রাসায় ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী ছিল। এর হচ্ছেন, দুই জমজ বোন রিম ও জিম এবং তাদের সহপাঠী মুক্তা। তাদের সবার বয়স ১৪। তাদের উদ্ধার করা হলেও পারিবারের আপত্তিতে পুলিশ জড়িত কাউকে আটক করে নি। সাভার মডেল থানার ওসি জুয়েল মিয়া যুগান্তরকে জানান,তিন কিশোরী কে আজ বিকেলে আশুলিয়ার নবীনগর সেনা কমপ্লেক্সে এর সামনে থেকে উদ্ধার করা হয়। এর আগে গত শনিবার সকালে তারা নিখোঁজ হলে তারা সাভার মডেল থানায় পৃথক দুইটি জিডি লিপিবদ্ধ করেন। উদ্ধার অভিযানে তাদের এক বান্ধবীর সাথে ফোনে আলাপ করে দেখা করার কথা বললে তারা সেনা কমপ্লেক্সে এর সামনে থাকবে বলে জানায়।
ঐ সুত্র ধরে অভিভাবকরা যায় এবং সাথে সিভিলে-২ র্যাব সদস্য ও পুলিশ যায় এবং সহজেই তাদের পেয়ে যায়। জুয়েল মিয়া জানান, তারা সকলেই মাদ্রাসার ৪র্থ শ্রেনীর ছাত্রী। বাসা থেকে অভিমান করে চলে যায় বলে প্রাথমিক ভাবে জানা যায়। তারা বাসে জিরাবো বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে নামে। পরে তারা এক রিক্সওয়ালার সাথে রিক্সায় জিরাবো এলাকায় একটি বাসা নিয়ে দিতে বললে, সেই রিক্সাওয়ালা তাদের তিনজনকে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে দেয়। দুই রাত ও তিনদিন তারা সেই বাসাতেই ছিল, তবে আশ্রয় দাতা বা বাসার খোঁজ কেউ দিতে পারে নি। এ নিয়ে কিশোরীদের পরিবার নিখোঁজ রহস্য নিয়ে কোন কথা বলতে রাজি হয় নি।
এই বিষয়ে জানতে গেলে জমজ কিশোরী দ্বয়ের মা এবং মুক্তার বোন রাহেলা খাতুন উদ্ধার মেয়েদের সাথে কোন কথা বলতে দেন নাই। তারা বলেন পুলিশ তাদের কথা বলতে নিষেধ করেছেন। এ ব্যাপারে বাড়ির মালিক সাইফুল ইসলাম জানান, তারা আমার বাড়িতে ভাড়া থেকে মাদ্রাসায় পরতো। শনিবার সকালে তারা মাদ্রাসায় যাওয়া কথা বলে বেরিয়ে যায়। কিন্তু ছুটির পর তারা বাসায় না ফিরলে ব্যাপক খোঁজা খোঁজির পর তারা সাভার মডেল থানায় অভিযোগ দিন।এ সময় সাভার মডেল থানার এস আই ফজলুল কবীরকে তদন্তের দায়ীত্ব দেওয়া হয়।
ছবি: সাভার উদ্ধার হওয়া এক কিশোরীর আংশিক ছবি। (ভিডিও ক্লিপ থেকে নেওয়া)