আলোর যুগ প্রতিনিধিঃ ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সাবেক কৃষিমন্ত্রী উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদসহ মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা আওয়ামী লীগের ৩৭ নেতাকর্মীর নামে মামলা হয়েছে। মামলাটি করেন শ্রীমঙ্গল শহরতলির সিন্দুরখান ইউনিয়নের শ্রীগাঁও এলাকার বাসিন্দা, শ্রীমঙ্গল উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ জসিম উদ্দীন (৪২)। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) মৌলভীবাজারের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক মিছবাহুর রহমানের আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়।
মামলায় সাবেক এমপি উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক মন্ত্রীর ভাই কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুল ও তার আরেক ভাই কমলগঞ্জ উপজেলা রহিমপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ বদরুল, উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ কলেজের ক্যশিয়ার বিকাশ চন্দ্র দেবনাথ, শ্রীমঙ্গল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অর্ধেন্দু কুমার দেব, সাধারণ সম্পাদক জগৎ জ্যোতি ধর শুভ্র, শ্রমিকলীগ নেতা মো. শাহজাহান মিয়া, আব্দুল ওয়াহিদ আক্তার, মো. জাফর মিয়া, আব্দুল মোছাব্বির লোকমান মেম্বার, মো. পারভেজ মিয়া, মো. নুরুল ইসলাম, মো. জালাল মিয়া, ভুন্ডল চাষা, হাফিজুর রহমান, মুহিবুর রহমান, আবেদ হোসেন, মসুদুর রহমান মসুদ,আবু জামান চৌধুরী রিপন, রাজু দেব রিটন, আকাশ দেব জুয়েল, দুলাল মিয়া, মো. শিপন মিয়া, মো. রাজন মিয়া, বদরুল আলম শিপলু, মো. আব্দুর রশিদ, মো. তারেক আজাদ, মো. সানুর মিয়া, মো. হামিদ মিয়া, মিতালী দত্ত (সাবেক উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান), প্রাণেশ গোয়ালা, উজ্জ্বল দাস, সাজিদ মিয়া, জয়রাম কর্মকার, মো. মোস্তফা মেম্বার, মহেন্দ্র কর। এ ছাড়া ৫০/৬০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। জানা গেছে, মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বিচারক মিছবাহুর রহমান মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআই পুলিশকে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেন।
বাদী মামলার এজাহারে অভিযোগ করেন, ২০১৮ সালে ৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সিলেট যাওয়ার পথে হবিগঞ্জ জেলার মিরপুর নামক স্থানে মামলার বাদী ও তার স্বাক্ষীগণসহ বিএনপি লোকজন অভ্যর্থনা জানিয়ে সেখান থেকে ফিরে শ্রীমঙ্গল শহর থেকে বাসায় যাওয়ার পথে শহরের চৌমুহনায় পৌঁছামাত্র সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ ও তার দুই ভাইয়ের নির্দেশে আসামীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাদী ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরীসহ বিএনপির লোকজনকে ঘেরাও করে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথাড়ি মারধর করতে থাকে। একপর্যায়ে সাবেক উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তাজ উদ্দিন তাজুকে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসররা মারধর করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে চৌমুহনায় ব্যারিকেড দিয়ে রাখে।