
আলোর যুগ প্রতিনিধিঃ তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারার কাছে এক মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় লিবিয়ার সেনাপ্রধান মুহাম্মদ আলী আহমেদ আল-হাদ্দাদ নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার পরপরই উদ্ধারকর্মীরা বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের ব্ল্যাকবক্স (উড়োজাহাজের তথ্য সংরক্ষণ যন্ত্র) উদ্ধার করেছেন। এতে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানার পথ সহজ হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
মঙ্গলবার রাতে আঙ্কারার এসেনবোগা বিমানবন্দর থেকে ত্রিপোলির উদ্দেশে উড্ডয়ন করা একটি প্রাইভেট জেট (ফ্যালকন–৫০) উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণকক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ হারায়। পরে আঙ্কারা থেকে প্রায় ৭৪ কিলোমিটার দূরে হায়মানা জেলার কেসিককাভাক গ্রামের দক্ষিণে বিমানটির ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়। দুর্ঘটনায় সেনাপ্রধান ছাড়াও আরও চার লিবীয় কর্মকর্তা ও তিনজন ক্রু নিহত হন।
লিবিয়ার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের প্রধানমন্ত্রী আবদুল হামিদ দবেইবা এক বিবৃতিতে এই মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন। তিনি ঘটনাটিকে ‘জাতির জন্য বড় ক্ষতি’ হিসেবে উল্লেখ করেন। নিহত অন্য কর্মকর্তাদের মধ্যে ছিলেন স্থলবাহিনীর প্রধান আল-ফিতুরি ঘারিবিল, সামরিক উৎপাদন কর্তৃপক্ষের পরিচালক মাহমুদ আল-কাতাওয়ি, সেনাপ্রধানের উপদেষ্টা মুহাম্মদ আল-আসাওই দিয়াব এবং সামরিক চিত্রগ্রাহক মুহাম্মদ ওমর আহমেদ মাহজুব।
তুরস্কের প্রেসিডেন্টের কমিউনিকেশনস ডিরেক্টরেট জানায়, উড়োজাহাজটি বৈদ্যুতিক ত্রুটির কারণে জরুরি অবতরণের অনুরোধ করেছিল। দেশটির আইন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আঙ্কারার প্রধান প্রসিকিউটর অফিস ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিক প্রতিবেদনে কোনো নাশকতার আলামত পাওয়া যায়নি; প্রযুক্তিগত ত্রুটিকেই সম্ভাব্য কারণ বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আল-হাদ্দাদ পশ্চিম লিবিয়ায় পরিচিত ও প্রভাবশালী সামরিক নেতা ছিলেন। তুরস্ক সফরে তিনি নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা খাতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা নিয়ে বৈঠক করেছিলেন। এই দুর্ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটল, যখন তুরস্ক লিবিয়ায় নিজেদের সামরিক উপস্থিতির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
