আলোর যুগ স্পোর্টসঃ মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) নাসুম আহমেদের প্রথম ওভারেই তিনটি ছক্কা মারেন তানজিদ হাসান তামিম। পরে তার ব্যাট থেকে আসে আরও চারটি ছক্কা। মোট সাতটি ছক্কা মেরেও অবশ্য ৫৮ রানের বেশি করতে পারেননি ২৪ বছর বয়সী ওপেনার। তার ড্রেসিং রুমে ফেরার সময় তার হতাশা ছিল স্পষ্ট।
সব মিলিয়ে চলতি আসরে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৩৬টি ছক্কা। বিপিএলের এক আসরে এটিই বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের সর্বোচ্চ ছয়ের রেকর্ড। গত বছর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে ১৪ ইনিংসে ২৪টি ছক্কা মেরেছিলেন তাওহিদ হৃদয়। এবার ১২ ইনিংসেই হৃদয়ের চেয়ে ১২টি ছক্কা বেশি মেরেছেন তানজিদ। সার্বিকভাবে বিপিএলের এক আসরে সবচেয়ে বেশি ছয়ের রেকর্ড ক্রিস গেইলের। ২০১৭ সালে রংপুর রাইডার্সের হয়ে ১১ ইনিংসে ৪৭টি ছক্কা মেরেছিলেন ‘ইউনিভার্স বস।’ ঢাকা ক্যাপিটালস প্লে-অফের আগেই ছিটকে যাওয়ায় গেইলের রেকর্ড ভাঙা বা আরও কাছাকাছি যাওয়ার আর সুযোগ পাচ্ছেন না তানজিদ।
টুর্নামেন্টের প্রথম ছয় ম্যাচে মাত্র ৮টি ছক্কা মারেন তানজিদ। বাকি ছয় ম্যাচে তিনি মারেন আরও ২৮টি ছক্কা। দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে ৬৪ বলে ১০৮ রানের ইনিংস খেলার পথে ৬টি চারের সঙ্গে ৮টি ছক্কা মারেন তিনি। এক ইনিংসে সেটিই ছিল তার সর্বোচ্চ ছয়। খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে প্রথম ওভারের তৃতীয় বল ছক্কায় ওড়ান তানজিদ। একই ওভারের শেষ দুই বলের গন্তব্যও সীমানার ওপারে। এক ওভার পর মুশফিক হাসানের বলে মারেন দুইটি ছক্কা। পরে মেহেদী হাসান মিরাজের পরপর দুই ওভারে তার ব্যাট থেকে আসে একটি করে ছক্কা।
মাত্র ১৮ বলে ৪৫ রান হয়ে যায় তানজিদের। এর মধ্যে ৪২ রানই শুধু ছক্কা মেরে। এরপর হুট করেই যেন বাউন্ডারি মারতে ভুলে যান বাঁহাতি ওপেনার। পঞ্চাশ ছুঁতে লেগে যায় আরও ১০ বল। পরে ব্যাটের কানায় লেগে আরেকটি চার পেলেও রানের গতি আর বাড়াতে পারেননি তিনি। শেষ পর্যন্ত ৩৭ বলে ৫৮ রানে থামে তার ইনিংস। সব মিলিয়ে ১২ ইনিংসে ৪৪.০৯ গড় ও ১৪১.৩৯ স্ট্রাইক রেটে ৪৮৫ রানে আসর শেষ করলেন তানজিদ। ৪টি ফিফটির সঙ্গে একটি সেঞ্চুরি করেন তিনি। এখন পর্যন্ত তিনিই ব্যাটসম্যানদের তালিকায় সবার ওপরে।
গত আসরেও প্লে-অফ খেলা হয়নি তানজিদের। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে ১২ ইনিংসে ৩৮৪ রান করে সেবার ব্যাটসম্যানদের তালিকায় তিনি ছিলেন চার নম্বরে। বিপিএলের এক আসরে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তানজিদের চেয়ে বেশি রান আছে শুধু তিন জনের। ২০২৩ সালে নাজমুল হোসেন শান্ত ৫১৬, ২০২৪ সালে তামিম ইকবাল ৪৯২ ও ২০১৯ সালে মুশফিকুর রহিম ৪৯১ রান।