আলোর যুগ প্রতিনিধিঃ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসার পর শনিবার (১১ মে) গভীর রাতে জাতির উদ্দেশে প্রথমবারের মতো ভাষণ দেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তিনি এই যুদ্ধবিরতিকে ‘পাকিস্তানের ঐতিহাসিক বিজয়’ হিসেবে উল্লেখ করেন। খবর বিবিসির। ভাষণে তিনি ‘যুদ্ধবিরতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা’ পালনের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশংসা করেন এবং সৌদি আরব, চীন, তুরস্ক, কাতার ও যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য দেশকে ধন্যবাদ জানান।
চীনকে তিনি ‘অত্যন্ত কাছের, খুব বিশ্বাসযোগ্য’ বন্ধু দেশ হিসেবে উল্লেখ করে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান। এছাড়া শাহবাজ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এই যুদ্ধবিরতিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। শাহবাজ শরিফ বলেন, “আমরা শান্তিকামী রাষ্ট্র। পাকিস্তানে কোটি কোটি মানুষের বসবাস। সবার জন্য লাভজনক হবে ভেবেই আমরা যুদ্ধবিরতির পদক্ষেপ নিয়েছি।”
তিনি ভাষণে দাবি করেন, পাকিস্তান একটি ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ অর্জন করেছে। এজন্য তিনি সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তার ভাষায়, দেশের মূলনীতিগুলো তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে আমাদের বাহিনী। ভাষণের শুরুতেই তিনি বলেন, “কেউ যদি স্বাধীনতাকে চ্যালেঞ্জ করে, তাহলে প্রতিরোধের জন্য যা প্রয়োজন, আমরা তা করব।” তিনি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আনা ভিত্তিহীন অভিযোগগুলোর নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেন। শাহবাজ বলেন, “ড্রোন দিয়ে পাকিস্তানের ওপর হামলা হয়েছে, মসজিদ ধ্বংস করা হয়েছে এবং নিরীহ মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়া হয়েছে।”
তবে ভাষণ শুরুর আগে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতির বারবার লঙ্ঘনের যে অভিযোগ তোলেন, সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। বরং তিনি বলেন, “এই যুদ্ধবিরতির চুক্তি সকল পক্ষের কল্যাণে নেওয়া হয়েছে।” ভাষণের শেষ দিকে শাহবাজ শরিফ বলেন, “কাশ্মীরসহ পানিবণ্টনের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সম্ভব।”