
আলোর যুগ স্পোর্টসঃ ঘরের মাঠে রাকিব হোসেনের গোলে মাঠ ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল বসুন্ধরা কিংস। কেননা বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় তখন যোগ করা সময়ের খেলা চলছিল। তাতে যেন মন ভরছিল না দরিয়েলতনের। তাই যোগ করা সময়ে মোহামেডানের এক ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষককে দরিয়েলতন বোকা বানিয়ে বলকে জড়ালেন ফাঁকা জালে। তাকে নিজেদের অর্ধ থেকে লম্বা বল বাড়ান সোহেল রানা সিনিয়র। তাতে ২-০ গোলে হাসিমুখে মাঠ ছাড়ে কিংস।
এ জয়ে বসুন্ধরার অপরাজিত যাত্রা চলছেই। ড্রয়ে বাংলাদেশ ফুটবল লিগের এবারের মৌসুম শুরু করা কিংস টানা পাঁচ জয় পেয়েছে। পাঁচে পাঁচ করে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থান মজবুত করেছে তারা। ১১ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে থাকা ফর্টিসের বিপরীতে ১৬ পয়েন্ট কিংসের। অন্যদিকে হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়ার আগে আরো একটি ধাক্কা খেয়েছে মোহামেডান। কেননা যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে লাল কার্ড দেখেছেন তাদের মিডফিল্ডার মোজাফফরভ মোজাফফর। সোহেল রানাকে হাত দিয়ে আঘাত করে এই শাস্তি পান তিনি। শাস্তি দেওয়ায় রেফারির দিকে বেশ কবার তেড়ে যান তিনি। সতীর্থরা পরে উজবেকিস্তানের মিডফিল্ডারকে আটকান।
ম্যাচের ১৫ মিনিটে লিড নেয় বসুন্ধরা। বাঁ-প্রান্ত থেকে ফাহিমের দারুণ এক ক্রস থেকে মোহামেডানের ডি বক্সে ফাঁকায় দাঁড়ানো রাকিব শুধু ডান পায়ে জালের পথ দেখিয়ে দেন। পরে ঠিকই জাল খুঁজে নেয় বল। ২১ মিনিটে গোলবার বাধা হয়ে না দাঁড়ালে দ্বিতীয় লিডও পেয়ে যেত কিংস। কিন্তু বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া ইমানুয়েল সানডের দুর্দান্ত শট বারে লেগে ফিরে আসে।
অন্যদিকে ৪৩ মিনিটে কর্নার থেকে সমতায় ফেরার সুযোগ পেয়েছিল মোহামেডান। তবে তাদের সামনে বাধা হন আনিসুর রহমান জিকো। জটলার মধ্যে দারুণ সেভ করেন তিনি। তার আগে মোজাফফরের ফ্রি কিক সেভ করেন কর্নারের বিনিময়ে। পরে আর কোনো গোল না হলে বিরতিতে যায় কিংস। ম্যাচের ৭৫ মিনিটে কিউবা মিচেল জোরালো শটটা মোহামেডানের জালে রাখতে পারলে দ্বিতীয় গোল পেতে পারত কিংস। কিন্তু তার শট অল্পের জন্য বাঁ পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়। দ্বিতীয় গোলের সেই আশা ম্যাচের যোগ করা সময়ে পূর্ণ করেন দরিয়েলতন।
