আলোর যুগ প্রতিনিধিঃ স্কুল ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনের দ্বন্দ্বে ইউপি চেয়ারম্যান এস এম সুমন হালদারকে (৪৫) গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে চাচা ও চাচাতো ভাইদের বিরুদ্ধে। রবিবার দুপুর একটার দিকে জেলার টঙ্গিবাড়ি উপজেলার পাঁচগাও বাজার এলাকার আলহাজ্ব ওয়েদ আলী দেওয়ান উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত এস এম সুমন হালদার পাঁচগাও ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি ওই গ্রামের পিয়ার হোসেন হালদারের ছেলে। তার একটি ছেলে ও একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার ওয়েদ আলী দেওয়ান উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন চলছিল। এসময় ভোটাধিকার প্রয়োগ নিয়ে নিহতের চাচা ও চাচাতো ভাই মৃত মকবুল হালদারের ছেলে নুর মোহাম্মদ, নূর আহম্মেদ ভোলা, চাচাতো ভাই সেকু নুর ও কাউসারের সাথে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে ইউপি চেয়ারম্যান সুমনকে এলোপাতাড়ি গুলি করে।
পরে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে সুমনকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে টঙ্গিবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় মৃত মকবুল হালদারের ছেলে নুর মোহাম্মদ, তার ছেলে সেকু নুর ও কাউসারকে আটক করেছে পুলিশ।
তারা আরও বলেন, হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতরা সবাই সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মিলেনুর রহমান মিলনের অনুসারী। টঙ্গিবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা শোয়েব আলী বলেন, হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ তাৎক্ষণিক কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।