আলোর যুগ প্রতিনিধিঃ এবার মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে রোবটের নকশা চুরির অভিযোগ তুলেছেন ২০০৪ সালের সায়েন্স ফিকশন সিনেমা ‘আই, রোবট’-এর পরিচালক অ্যালেক্স প্রোয়াস। সম্প্রতি টেসলার এক আয়োজনে কোম্পানির ফিউচারিস্টিক সাইবারক্যাব দেখিয়েছেন মাস্ক। স্টিয়ারিং হুইল বা পেডেলবিহীন এ গাড়ির দরজা অনেকটা ডানার মতো। এর পাশাপাশি, কোম্পানির অপ্টিমাস রোবটের নতুন সংস্করণও দেখা গেছে এ আয়োজনে।
প্রোয়াসের সিনেমায় হলিউড অভিনেতা উইল স্মিথকে এমন গোয়েন্দা কর্মকর্তা হিসেবে দেখা গেছে, যিনি অ্যান্ড্রয়েড প্রযুক্তির আনুগত্য নিয়ে সন্দিহান। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ মাস্কের বিরুদ্ধে নিজের কাজ চুরি করার অভিযোগ তুলেছেন অস্ট্রেলীয় এ চলচ্চিত্র নির্মাতা। তিনি লেখেন- “হেই ইলন, তুমি কি দয়া করে আমার নকশাগুলো ফেরত দেবে।” গত মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ওই পোস্টের ভিউ সংখ্যা ৭৬ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
এদিকে, ইনস্টাগ্রামের এক পোস্টে একজন মন্তব্যকারী তার এ দাবির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এর জবাবে অস্ট্রেলীয় এ চলচ্চিত্র নির্মাতা বলেন, সিনেমার ভিজুয়াল তৈরির জন্য তিনি খুবই মেধাবী একটি নকশা দলের সঙ্গে কাজ করেছেন। অন্যদিকে, ইলন মাস্কের কাছে এতটা মেধাবী নকশা দল নেই। হয়ত তিনি অনেক সিনেমা দেখেছেন, যার মধ্যে ‘আই, রোবট’ও ছিল।”
সিনেমাটির প্রোডাকশন ডিজাইনার প্যাট্রিক ট্যাটোপোলোস পরবর্তীতে ওই ছবি রিপোস্ট করেন, যেখানে তিনি নিজস্ব পোস্টে সিনেমাটির নকশা এবং টেসলার আয়োজনের বিভিন্ন ছবি পাশাপাশি বসিয়ে এদের মিল দেখিয়েছেন। প্যাট্রিক ট্যাটোপোলোস লেখেন- “হয়ত আমারই এমন মনে হচ্ছে। অথবা আমার নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করা উচিৎ কারণ, ইলন আমার আই, রোবট-এর নকশাগুলো থেকে অনুপ্রেরণা খুঁজে পেয়েছে। যাই হোক, এটা দেখে মজা পেয়েছি।
কোনো প্রযুক্তি কোম্পানির বিরুদ্ধে সায়েন্স ফিকশন সিনেমা বা উপন্যাস থেকে আইডিয়া চুরির অভিযোগ এবারই প্রথম এল, বিষয়টি এমন নয়। বিশেষ করে যখন বিভিন্ন কোম্পানি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চালিত নতুন গ্যাজেট ও রোবটিক পণ্য বিকাশ করছে। এর আগে মাস্ক বলেছিলেন, তিনি ব্রিটিশ লেখক ডগলাস অ্যাডামসের লেখা ‘দ্য হিচহাইকার’স গাইড টু দ্য গ্যালাক্সি’ বই থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছেন, যেখানে ‘মার্ভিন দ্য প্যারানয়েড অ্যান্ড্রয়েড’ নামের একটি হিউম্যানয়েড রোবট ছিল।