আলোর যুগ প্রতিনিধিঃ আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা কোন পথে দিয়ে, কার ইঙ্গিত দেশ থেকে পালালো তাদের শ্বেতপত্র প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতিসহ সচিবালয়ে আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন শেখ হাসিনা। সচিবালয়ে যখন শেখ হাসিনার প্রেতাত্মার বসে থাকে তখন শহীদ সাইদ-মুগ্ধ কথা ভেবে চোখে পানি চলে আসে। শেখ হাসিনার পেত্মাতারা এখনো ষড়যন্ত্রের গন্ধ আমাদের নাকে আছে। এই ষড়যন্ত্র থেকে আপনাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) বের হতে হবে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ইয়থ ফোরামের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ড. মোহাম্মদ ইউনূস সরকারকে ব্যর্থ করতে পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রপতি এবং মাফিয়া হাসিনার নিয়োগপ্রাপ্ত সচিবসহ প্রশাসনের সর্বস্তরের ক্যাডারদের বহিষ্কারের দাবিতে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার উদ্দেশ্য জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলও তার কতোজন লোককে গ্রেফতার করেছেন? বিদেশে বসে খুনিরা যারা দেশের বিরুদ্ধে কথা বলছেন, জনগণ চাওয়া তাদের দেশে এনে বিচার করুন। ৪৬০ থানার ওসিদের আইনের আওতায় আনুন, তারা বলতে পারবে কোথায় আছে ছাত্রলীগ যুবলীগের অবৈধ অস্ত্র।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা নির্দেশে বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে গুম করা হয়েছে, লাখো মায়ের বুক খালি করেছেন সেই গণহত্যাকারী শেখ হাসিনা বক্তব্য কেন ফেসবুকে প্রচার হচ্ছে? আওয়ামী শাসনামলে আমাদের নেতা তারেক রহমান ও খালেদা জিয়ার কোন বক্তব্য প্রচার করতে পারেনি কোনো গণমাধ্যম। তাই খুনি শেখ হাসিনা ও তার ছেলে জয়ের বক্তব্য কিভাবে গণমাধ্যম আসে তা জনগণ জানতে চায়।
জয়নুল আবদিন ফারুক আরো বলেন, ডিবি হারুন ও বিপ্লব কুমার সরকারের অত্যাচারের কথা মনে পড়লে এখনো চোখে পানি চলে আসে। দেশের ছাত্র শ্রমিক জনতা মুক্তিযুদ্ধ করলেও শেখ হাসিনা বলতেন এই দেশ স্বাধীন করেছে আমরা বাবা, এটা আমার বাবার দেশ। তাই আজকে এই অহংকার পতনের হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, আমরা যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন চাই। আমাদের ওপর ভরসা রাখবেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন, এই বিপ্লবী সরকারকে টিকিয়ে রাখতে হবে। ছাত্রলীগ-যুবলীগ আবারও অস্ত্র হাতে মানুষ খুন করুন- এটা আমরা চাই না। আইন নিজের হাতে তুলে নেবো না কিন্তু কতক্ষণ ধের্য ধরে রাখবে জানি না। আপনারা ১৮ কোটি মানুষের জন্য একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেবেন, সেই নির্বাচন বিশ্বে ইতিহাস হয়ে থাকবে। ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ভাঙার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি সাইদুর রহমান বলেন, প্রশাসনে এখনো হাজার হাজার শেখ হাসিনার দোসরা বসে আছে। তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতা না করে বরং শেখ হাসিনার সাথে যোগাযোগ করে দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে। এরাই হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্বোচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী সফু, নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মোহাম্মদ নেসারুল হক, কৃষক দলের সহ-সভাপতি ভিপি ইব্রাহিম, গণঅধিকার পরিষদ সদস্য সচিব ফারুক হাসান প্রমুখ।