আলোর যুগ স্পোর্টসঃ কাইল ভেরেইনের সেঞ্চুরিতে বড় লিড পেল সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা। সব কয়টি উইকেট হারিয়ে ৩০৮ রান করেছে প্রোটিয়ারা। এতে লিড দাঁড়িয়েছে ২০২ রানে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১১৪ রান করেন কাইল ভেরেইন। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকালে ৬ উইকেটে ১৪০ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। এসময় তাদের লিড ছিল ৩৪ রানের।
এদিন লাঞ্চের আগে হাসান মাহমুদ টানা দুই উইকেট নিলেও কাইল ভেরেইন ছিলেন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। দ্বিতীয় সেশনে নবম উইকেটে ডেন পিয়েটকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েছেন তিনি। পঞ্চাশ ছাড়ানো জুটি গড়ার পর পূরণ করেছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। ১৩৪ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। এদিন শুধু নিজে যে খেলেছেন তা নয়, অন্য প্রান্তের ব্যাটসম্যানকেও খেলিয়েছেন। সে কারণেই মুল্ডারের সঙ্গে ১১৯ রানের জুটির পর ডেন পিটের সঙ্গে গড়েছেন অবিচ্ছিন্ন ৬৫ রানের জুটি। এই দুই জুটিতেই ম্যাচ অনেক পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ।
সপ্তম উইকেটের জুটিতে রান তুলেই যাচ্ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ব্যাটার কাইল ভেরেইনে ও উইয়ান মুলদার। কিছুতেই কিছু হচ্ছিলো না। দুই স্পিনার তাইজুল ইসলাম ও নাইম হাসান চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। অবশেষে তাদের ১১৬ রানের জুটি ভাঙেন হাসান মাহমুদ। শুধু জুটি ভাঙাই নয়, দুই বলে দুই উইকেট তুলে নেন টাইগার পেসার।
৬৫তম ওভারের পঞ্চম বলে ফিফটি হাঁকানো মুলদারকে স্লিপে সাদমান ইসলামের হাতের ক্যাচ বানান হাসান। ডানহাতি টাইগার পেসারের বলে আউট হওয়ার আগে ১১২ বলে ৫৪ রান করেন মুলদার। পরের বলেই নতুন ব্যাটার কেশব মহারাজকে (১ বলে ০) বোল্ড করেন হাসান। নতুন ওভারের প্রথম বলে নতুন ব্যাটার ডেন পিট স্ট্রাইকে থাকায় হ্যাটট্রিকের সুযোগ ছিল হাসানের। তবে সেটা আর হয়নি। ম্যাচে বাংলাদেশের পক্ষে তাইজুল ৫টি, হাসান মাহমুদ ৩টি ও মিরাজ ২টি উইকেট নেন। এর আগে মাত্র ১০৬ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। সোমবার (২১ অক্টোবর) শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিং নেয় বাংলাদেশ।
ব্যাটিংয়ে নেমে প্রোটিয়া পেসার উইয়ান মুলদার ও কাগিসো রাবাদার বোলিং তোপে পড়ে শান্ত বাহিনী। মাত্র ২৬.১ ওভারে ৬০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। বিরতি থেকে ফিরেও খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ। মাত্র ৪৬ রানে বাকি চার উইকেট হারায় শান্তরা। এদিন দলের পক্ষে মুলদার,রাবাদা ও কেশব মহারাজ তিনটি করে উইকেট নেন। আর ডেইন পিড নেন একটি উইকেট।
বাংলাদেশ একাদশ: নাজমুল হোসেন শান্ত, সাদমান ইসলাম, মাহমুদুল হাসান জয়, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, লিটন কুমার দাস, মেহেদি হাসান মিরাজ, জাকের আলী অনিক, নাঈম হাসান, তাইজুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ।
দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ: এইডেন মারকরাম, টনি ডি জর্জি, ট্রিস্টান স্টাবস, ডেভিড বেডিংহ্যাম, রায়ান রিকেলটন, ম্যাথিউ ব্রিটজকে, কাইল ভ্যারিয়েনে, উইয়ান মুল্ডার, কাগিসো রাবাদা, কেশব মহারাজ, ডেইন পিড।