আলোর যুগ প্রতিনিধিঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্রলীগকর্মী আশরাফুর রহমান ইজাজকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি হাসান আল ফারাবী জয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঢাকা ও নেত্রকোনা পুলিশের সহায়তায় তাকে গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতার আসামি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। তিনি কলেজপাড়া এলাকার কলেজ শিক্ষক দম্পতি ইয়াকুব আলী ও রোকেয়া বেগমের একমাত্র ছেলে। হাসান আল ফারাবী প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
শনিবার দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন।এর আগে, শুক্রবার ভোরে নেত্রকোনার আটপাড়ার কুতুবপুর গ্রাম থেকে জয়কে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের ভাটপাড়ার একটি ঝোপ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়েছে।
জয়ের জবানবন্দীর বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার জানান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ভিপি জালাল হোসেন খোকা এবং হাসান আল ফারাবী জয় খুবই ঘনিষ্ঠ। নিহত আশরাফুর রহমান ইজাজও তাদের সঙ্গে চলাফেরা করত। কলেজপাড়া এলাকায় এককভাবে প্রভাব বিস্তার করত খোকা ও জয়। তবে নিহত ইজাজ কিছু কিছু সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করতো। এ বিরোধ চরম আকার ধারণ করে।
ইজাজ ও তার সঙ্গে চলাফেরা করা কয়েকজনকে চরম শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২ জুন শহরের আরেকজনের কাছ থেকে খোকা গুলি করা অস্ত্রটি সংগ্রহ করে জয়কে দেয় এবং এজাজকে মারার সুযোগ খুঁজতে থাকে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নির্বাচনের দিন ৫ জুন সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় নির্বাচন শেষে কলেজ পাড়া এলাকায় বিজয় উল্লাস করার জন্য ২০/২৫ জন লোক জড়ো হয় এবং সেখানে খোকা, জয় এবং ইজাজও ছিল। খোকার সঙ্গে কোনো একটা বিষয় নিয়ে ইজাজের তর্ক-বিতর্কের মাঝেই জয় তার কোমর থেকে পিস্তল বের করে ইজাজকে প্রকাশ্যে গুলি করে পালিয়ে যায়।
অভিযুক্ত অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। বিশেষ করে অস্ত্রের মালিককে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। সেও খুনের পরিকল্পনার অংশ বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. ইকবাল হোসাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশেষ শাখা জয়নাল আবেদীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল বিল্লাল হোসেন, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসাইন ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মো. আফজাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।