Sunday, August 17, 2025
Homeআন্তর্জাতিকব্যাপক জালিয়াতির অভিযোগ, ভারতের শিল্পপতি অনিল আম্বানির বাড়ি-অফিসে তল্লাশি

ব্যাপক জালিয়াতির অভিযোগ, ভারতের শিল্পপতি অনিল আম্বানির বাড়ি-অফিসে তল্লাশি

আলোর যুগ প্রতিনিধিঃ ব্যাপক জালিয়াতির অভিযোগে ভারতের শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির ভাই শিল্পপতি অনিল আম্বানির বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালিয়েছে দেশটির আর্থিক বিষয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। দুর্নীতির অভিযোগে একাধিক এফআইআর দায়ের হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে এই অভিযান শুরু করল ইডি। দিল্লি, মুম্বাইসহ দেশের মোট ৩৫টি জায়গায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এই তল্লাশি শুরু হয়েছে।

ইডি সূত্রের খবর, অনিল আম্বানির সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণা ও অর্থ তছরুপের অভিযোগ রয়েছে। ইতোমধ্যেই ৫০টির বেশি সংস্থা ও ২৫ ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। অর্থ বিনিয়োগ নিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ব স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার (এসবিআই) সঙ্গে অনিল আম্বানির বিভিন্ন সংস্থার বিরোধ চলছে। বুধবার এসবিআই অনিল আম্বানি ও তার সংস্থাগুলোকে সরাসরি ‘প্রতারক’ বলে অভিহিত করেছিল। এই শিল্পপতির বিরুদ্ধে এসবিআই নিজেরাই সিবিআইয়ের দ্বারস্থ হওয়ার কথা ভেবে রেখেছে। এর মধ্যেই শুরু হলো ইডির তল্লাশি।

এর আগে এসবিআই ২০২০ সালের নভেম্বরেও অনিল আম্বানি ও তার সংস্থা রিলায়েন্স কমিউনিকেশন্সকে ‘ফ্রড অ্যাকাউন্ট’ ঘোষণা করেছিল। ২০২১ সালের ৫ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের কাছে অভিযোগও করেছিল। কিন্তু পরের দিন দিল্লি হাইকোর্ট সেই অভিযোগে স্থগিতাদেশ দেন। অনিল আম্বানি ও তার সংস্থাগুলো ‘চমৎকারভাবে সাজানো এক সুপরিকল্পিত প্রতারণা চক্র’ অভিহিত করে ইডি সূত্রে বলা হচ্ছে, এই চক্র ব্যাংক, বিভিন্ন বিনিয়োগকারী সংস্থা ও সাধারণ মানুষের টাকা আত্মসাৎ করেছে। ইডির অভিযোগ, বিপুল ঋণ পেতে এসব সংস্থা ব্যাংকের শীর্ষ কর্তাদের ঘুষ দিয়েছিল।

ইডির দাবি, ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে বেসরকারি ইয়েস ব্যাংক অনিলের সংস্থা ‘রাগা’ গোষ্ঠীর বিভিন্ন কোম্পানিকে তিন হাজার কোটি রুপি ঋণ দিয়েছিল। তার বিনিময়ে ইয়েস ব্যাংকের তৎকালীন কর্তারা নিজেরা ব্যক্তিগতভাবে উপকৃত হয়েছিলেন। ইডির দাবি, ওটা ছিল ‘দেওয়া-নেওয়া চুক্তি’ বা ‘কুইড প্রো কো’।

ইডির তদন্তে জানা গেছে, এমন বহু সংস্থাকে ঋণ দেওয়া হয়েছে, যাদের বিষয়ে আদৌ খোঁজখবর নেওয়া হয়নি। আর্থিক হাল যাচাই করা হয়নি। দুর্বল সংস্থা ঋণ পেয়েছে। একাধিক সংস্থার পরিচালক ও ঠিকানা এক ছিল। ঋণ দেওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় নথি যাচাই না করেই। অনেক ক্ষেত্রে নথিই ছিল না। শেল কোম্পানিতে ঋণের টাকা পাঠানো হয়েছে। পুরোনো ঋণ মেটাতে নতুন ঋণ নেওয়া হয়েছে।

ইডিকে তদন্তে সহায়তা করছে ন্যাশনাল হাউজিং ব্যাংক, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া (এসবিআই), ন্যাশনাল ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং অথরিটি বা ‘এনএফআরএ’ ও ব্যাংক অব বরোদা। এসবিআই জানিয়েছে, অনিল আম্বানির সংস্থার ঋণের অঙ্ক বিপুল। শুধু মূলধনের হিসাবেই ঋণের অঙ্ক ২,২২৭.৬৪ কোটি রুপি। এর সঙ্গে সুদ এবং আনুষঙ্গিক খরচ তো আছেই। এছাড়াও রয়েছে ৭৮৬.৫২ কোটি রুপির নন-ফান্ড ভিত্তিক ব্যাংক গ্যারান্টি।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments