আলোর যুগ স্পোর্টসঃ চার ম্যাচ পর জাতীয় দলে ফিরে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে জ্বলে উঠতে পারলেন না তারকা স্ট্রাইকার রোমেলু লুকাকু। পারল না বেলজিয়ামও। তাদের মাঠে জিতে উয়েফা নেশন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠল ইতালি। ব্রাসেলসে বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দিবাগত রাতে ১-০ গোলে জিতেছে লুচিয়ানো স্পালেত্তির দল। শুরুতে সান্দ্রো টোনালির করা গোল গড়ে দিয়েছে ব্যবধান। একই সময়ে ‘এ’ লিগের দুই নম্বর গ্রুপের আরেক ম্যাচে ঘরের মাঠে ইসরায়েলের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে ফ্রান্স। ইতালি-বেলজিয়াম ম্যাচের ফল পক্ষে আসায় শেষ আটে উঠেছে ফরাসিরাও।
৫ ম্যাচে চার জয় ও এক ড্রয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে আছে ইতালি। তিন জয় ও এক ড্রয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ফ্রান্স। জয়ে আসর শুরুর পর চার ম্যাচে আর সেই স্বাদ না পাওয়া বেলজিয়াম ৪ পয়েন্ট নিয়ে আছে তিনে। তাদের সঙ্গে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেওয়া ইসরায়েলের পয়েন্ট ১। ঘরের মাঠে প্রথমার্ধে বিবর্ণ বেলজিয়াম দ্বিতীয়ার্ধে ভালো খেলে। প্রথমার্ধে গোলের জন্য তারা শট নিতে পারে মাত্র একটি, সেটিও লক্ষ্যভ্রষ্ট। বিরতির পর ১০টি শট নিয়ে ৩টি লক্ষ্যে রাখে স্বাগতিকরা। পুরো ম্যাচে ইতালির ১১ শটের ৪টি লক্ষ্যে ছিল।
একাদশ মিনিটে প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগেই এগিয়ে যায় ইতালি। বক্সের বাইরে সতীর্থকে পাস দিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়েন জিওভান্নি দি লরেন্সো। ফিরতি পাস পেয়ে বাঁ দিক থেকে কাটব্যাক করেন তিনি আর ফাঁকা জালে বল পাঠান টোনালি। জাতীয় দলের জার্সিতে ২০ ম্যাচে ২৪ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডারের প্রথম গোল এটি। প্রথমার্ধের শেষ দিকে আরেকটি ভালো সুযোগ পেয়ে ব্যবধান বাড়াতে পারেনি ইতালি। এই অর্ধে তাদের ৫ শটের ২টি ছিল লক্ষ্যে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটা ভালো করে বেলজিয়াম। ৫০তম মিনিটে জিনো দেবাস্তের শট ব্যর্থ করে দেন গোলরক্ষক জানলুইজি দোন্নারুম্মা। পরের মিনিটে লেয়ান্দ্রো ত্রোসারের শট ওপর দিয়ে উড়ে যায়। দুই মিনিট পর সতীর্থের পাসে গোলরক্ষককে একা পেয়ে যান ইতালির মাতেও রেতেগি। এই ফরোয়ার্ডের শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন কোয়েন কাস্তেলস।
৬১তম মিনিটে আরেকটি সুযোগ পায় বেলজিয়াম। এবার ওপেন্দার কোনাকুনি নিচু শট পা দিয়ে ঠেকান দোন্নারুম্মা। ৭৮তম মিনিটে দারুণ সুযোগ হারান লুকাকু। সতীর্থের ক্রসে হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি বেলজিয়ামের রেকর্ড স্কোরার। খানিক পর ডিফেন্ডার ভাউট ফাসের হেড পোস্টে লাগলে হতাশা বাড়ে বেজিয়ামের। অনেক চেষ্টা করেও গোলের দেখা পায়নি তারা।