আলোর যুগ প্রতিনিধিঃ বিমানে করে পালিয়েছেন সিরিয়ার স্বৈরশাসক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। হোমস শহর দখলের পর বিদ্রোহীরা রাজধানী দামেস্কে ঢুকতে শুরু করতেই রবিবার ভোরে বিমানে করে অজানা গন্তব্যের উদ্দেশে উড়াল দেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে সিরিয়ার দীর্ঘ ৫৪ বছরের পতন ঘটতে যাচ্ছে।আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা রয়টার্স ও ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এই দাবি করা হয়েছে।
যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচআর) জানিয়েছে, দামেস্ক বিমানবন্দর থেকে একটি ব্যক্তিগত বিমান উড্ডয়ন করেছে। সম্ভবত বাশার আল-আসাদ ওই বিমানে করেই পালিয়েছেন। বিমানবন্দরে সরকারি বাহিনীর সদস্যরা বিদায় জানানোর পর সেটি উড্ডয়ন করে। এদিকে, যেকোনও সময় দেশটির স্বৈরশাসক বাশার সরকারের পতন ঘটতে যাচ্ছে বলে বলে জানিয়েছেন বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) প্রধান আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, হোমস শহর নিয়ন্ত্রণের নেওয়ার পর কোনও ধরনের বাধা ছাড়াই রাজধানী দামেস্কে ঢুকতে শুরু করেছেন বিদ্রোহী যোদ্ধারা। এর ফলে খুব শিগগিরই বাশার আল–আসাদ সরকারের পতন ঘটতে যাচ্ছে। এক বার্তায় মোহাম্মদ আল-জোলানি যোদ্ধাদের সাধারণ মানুষের প্রতি ভালো আচরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “আমার ভাইয়েরা, আপনাদের প্রতি আমি আবারও আহ্বান জানাচ্ছি- আপনারা যেসব শহর ও গ্রামে প্রবেশ করবেন, সেখানকার মানুষের সঙ্গে সদয় ও নম্র আচরণ করবেন।”
তিনি অস্ত্র সমর্পণ করার পর সরকারি বাহিনীকে সাধারণ ক্ষমা করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। এদিকে ইরাকের সীমান্তবর্তী সিরিয়ার আল-কায়িম শহরের মেয়র বলেছেন, প্রায় দুই হাজার সিরিয়ান সেনা সীমান্ত পার হয়ে ইরাকে আশ্রয় নিয়েছেন। সিরিয়ার স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, দামেস্কের চারপাশ থেকে সরকারি সেনারা তাদের অবস্থান থেকে সরে যাওয়ায় সেখানে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বিরোধী বাহিনী পশ্চিম দামেস্কের গ্রামাঞ্চলে অগ্রসর হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে সূত্রগুলো। তারা বলেছে, পূর্ব ঘোউতার বিভিন্ন শহর থেকে সরকারি সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দামেস্কের বাজারগুলোয় খাদ্যপণ্য কিনতে মানুষের ভিড় লক্ষ করা গেছে।