আলোর যুগ প্রতিনিধিঃ ইসরায়েলের প্রধান বিমানবন্দরে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। এই ঘটনার জেরে হুতি বিদ্রোহী ও ইরানের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সোমবার (৫ মে) ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি তাদের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। খবরে বলা হয়, নেতানিয়াহু বলেছেন, হুতি বিদ্রোহীদের ও ইরানকেও এই হামলার পরিণতি ভোগ করতে হবে। সামাজিক মাধ্যম টেলিগ্রামে প্রকাশিত ভিডিওতে নেতানিয়াহু বলেন, অতীতেও ইরানের সমর্থনপুষ্ট (হুতি) বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ‘ব্যবস্থা নিয়েছে’ ইসরায়েল এবং ‘ভবিষ্যতেও উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।’
‘এক দফায় এই (প্রতিশোধমূলক) পদক্ষেপ নেওয়া হবে না, বরং বেশ কয়েক দফায় (প্রতিশোধ) নেওয়া হবে’, যোগ করেন তিনি। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি ইসরায়েলি নেতা। পরবর্তীতে এক্সে দেওয়া পোস্টে নেতানিয়াহু বলেন, ‘নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী বেছে নেওয়া সময় ও অবস্থানে’ ইরানকে জবাব দেবে ইসরায়েল।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা তাদের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানায়, আলজাজিরার যাচাইকৃত ছবি এবং ফুটেজ অনুসারে, রবিবার ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথির ছোড়া একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের বিমানবন্দরের সীমানায় আঘাত হানে। যার ফলে একটি রাস্তা ও যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
রবিবার সকালে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী নিশ্চিত করেছে, তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বেশ কয়েকবার ক্ষেপণাস্ত্রটি গুলি করে ভূপাতিত করতে ব্যর্থ হয়েছে, যদিও এটিকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। এ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আটজন আহতও হয়েছেন বলে জানিয়েছে প্যারামেডিকেরা। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নির্মিত উন্নত থাড সিস্টেম ও তেল আবিবের দূরপাল্লার অ্যারো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্ষেপণাস্ত্রটি ভূপাতিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। এ হামলার প্রতিক্রিয়ায় সামজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেতানিয়াহু লেখেন, হুথিদের আক্রমণ শেষ পর্যন্ত ‘ইরান থেকে এসেছে।’
তিনি লেখেন, ‘ইরানি ‘‘টেরর মাস্টার’’দের বিরুদ্ধে বিমানবন্দরে হুথি হামলার জবাব নির্দিষ্ট সময়ে ও স্থানে দেবে ইসরায়েল।’ ইসরায়েলের হুমকির জবাবে ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আজিজ নাসিরজাদেহ বলেছেন, আমেরিকা বা ইসরায়েল আক্রমণ করলে তেহরান পালটা আক্রমণ করবে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে নাসিরজাদেহ বলেন, ‘যদি এই যুদ্ধ আমেরিকা বা ইহুদিবাদী সরকার শুরু করে, তাহলে ইরান তাদের স্বার্থ, ঘাঁটি এবং বাহিনীকে যখনই প্রয়োজন মনে হবে লক্ষ্যবস্তু করবে। তিনি আরও বলেন, ইয়েমেনের হুথিরা হামলা করার সিদ্ধান্ত নিজেরা নেয়।