আলোর যুগ প্রতিনিধিঃ বাহারি রঙ, দেখতে বেশ মোটা-তাজা। তাই চাহিদা বেশি, দামও বেশি। এমন পশুর হাট বসেছে রাঙামাটিতে। শুধু রাঙামাটি ক্রেতাদের নয়, এসব পশুর প্রতি আকর্ষণ সমতলেও রয়েছে। তাই প্রতিদিন ট্রাকে করে ঢাকা ও চট্টগ্রামে রপ্তানি করা হচ্ছে রাঙামাটির পশু। ব্যাপারীরা বলছে, সমতলে পাহাড়ি গরুর দাম মিলে কয়েকগুণ। তাই স্থানীয় বাজারের চেয়ে রপ্তানিতে লাভ বেশি।
ঈদের বাকি মাত্র ৫ দিন। পছন্দের পশু ক্রয় করতে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে হাটে। রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই, বরকল, লংগদু, বিলাইছড়ি, জুরাছড়ি বাঘাইছড়ি ও নানিয়ারচর উপজেলা থেকে প্রতিদিন আনা হচ্ছে শত শত পাহাড়ি গরু। তবে এসব গরু তোলা হচ্ছে না হাটে। ট্রাকে করে রপ্তানি করা হচ্ছে জেলার বাইরে।
অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় বাজারের চাহিদা না মিটিয়ে ব্যাপারীরা বেশির লাভের আশায় গরু নিয়ে যাচ্ছে সমতলের হাটে। তাই ঈদের ৫ দিন বাকি থাকলেও তেমন গরু নেই রাঙামাটি শহরের ট্রাক টার্মিনাল হাটে। হতাশা ক্রেতাদের চোখে মুখে।
স্থানীয় কামরুজ্জামান বলেন, হাট বসেছে সপ্তাহ হয়েছে। কিন্তু তেমন গরু তোলা হয়নি। তাই হাট জমেনি। প্রায় প্রতিদিন গরুর বাজার ঘুরে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে। যেসব গরু উঠেছে সব দাম নাগালের বাইলে।
একই অভিযোগ মো. আলীর মুখে। তিনি বলেন, বাচ্চা সমান গরুর দাম ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা। আর একটু মাঝারি সাইজের গরু ১লাখ ২০ থেকে ৫০ হাজার পর্যন্ত। সামান্য বড় গরুগুলা দাম হাকাচ্ছে ৩ থেকে ৫ লাখ টাকা। এছাড়া সমতলের সাথে পাল্লা দিয়ে গরু ব্যাপারী ও দালালদের সিন্ডিকেটে বড় গরুর দাম ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত তুলেছে।
পাহাড়ি গরু ব্যবসায়ী সুজন চাকমা বলেন, পাহাড়ি গরু বন-জঙ্গলে লতাপাতা খেয়ে বেড়ে ওঠে। তাই গরুর স্বাস্থ্য ধরে রাখতে কোন রকম কৃত্রিম ওষুধও প্রয়োগ করতে হয় না। এসব পাহাড়ি গরুর চাহিদাও অনেক বেশি। তাই বেশি লাভের আশায় ব্যবসায়ীরা গরু সংগ্রহ করছেন রাঙামাটির দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চল থেকে। কিন্তু মূল মালিকরা চাহিদামত দাম পাচ্ছে না।
রাঙামাটি পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. জামাল উদ্দীন জানান, রাঙামাটি শহরে এবার পশুর হাট বসানো হয়েছে মাত্র একটি। পৌরসভা থেকে ইজারা নিয়ে বসানো হয়েছে পৌর ট্রাক টার্মিনালের পশুর হাটটি। রাঙামাটি জেলার বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকা থেকে প্রচুর পরিমাণে গরু আসতে শুরু করেছে।