আলোর যুগ প্রতিনিধিঃ তিন কর্মদিবস পেরিয়ে গেলেও স্থগিত হওয়া ‘সাহিত্য পুরস্কার’ দেওয়ার বিষয়ে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে ‘বিতর্ক’ এবার বাংলা একাডেমির পুরস্কার কমিটি নিয়ে’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর পুরস্কার সংক্রান্ত দায়িত্ব থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে পরিচিত জুরি বোর্ডের বিতর্কিত সদস্য মোরশেদ শফিউল হাসান।
এদিকে, পুরস্কারের প্রথম ঘোষিত তালিকায় নাম থাকা কথাসাহিত্যিক সেলিম মোরশেদও ইতোমধ্যে পুরস্কার প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দিয়েছেন। গত ২৩ জানুয়ারি পুরস্কারের তালিকা ঘোষণার পরে ফ্যাসিবাদের দালালদের পুরস্কৃত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলে লেখক ও পাঠকরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেটিজেনরাও পুরস্কার তালিকা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। যার কারণে ২৫ জানুয়ারি জরুরি সভা ডেকে পুরস্কার তালিকা স্থগিত করে বাংলা একাডেমি। ওই সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তিন কর্মদিবসের মধ্যে নতুন তালিকা প্রকাশ করা হবে।
গতকাল মঙ্গলবার তিন কর্মদিবস পেরিয়ে গেলেও পুরস্কারের নতুন তালিকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি বাংলা একাডেমি। পুরস্কারের ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে জানতে চাইলে একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বলেন, বইমেলা নিয়ে ব্যস্ততার কারণে মঙ্গলবার পুরস্কার নিয়ে নির্ধারিত সভা করতে পারিনি। এদিকে, একাডেমির জনসংযোগ উপবিভাগ জানায়, আজ বুধবার রাতের মধ্যেই পুরস্কারের নতুন তালিকা নিয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
এবার ১০ জনকে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। পুরস্কারের ঘোষিত তালিকায় কবিতায় মাসুদ খান, কথাসাহিত্যে সেলিম মোরশেদ, নাটক ও নাট্যসাহিত্যে শুভাশিস সিনহা, প্রবন্ধ/গদ্যে সলিমুল্লাহ খান, শিশুসাহিত্যে ফারুক নওয়াজ, অনুবাদে জি এইচ হাবীব, গবেষণায় মুহম্মদ শাহজাহান মিয়া, বিজ্ঞানে রেজাউর রহমান, মুক্তিযুদ্ধে মোহাম্মদ হাননান এবং ফোকলোরে সৈয়দ জামিল আহমেদের নাম ছিল।