আলোর যুগ প্রতিনিধিঃ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হকার সমস্যা নিরসনে রাজ্যের সচিবালয় নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতার ডাকা বৈঠকে উঠলো ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যা প্রসঙ্গ। তার অভিমত বাইরের লোক অর্থ দিয়ে কলকাতাসহ রাজ্যের যত্রতত্র বসে যাওয়ার কারণে একদিকে যেমন গাড়ি চলাচল করতে পারছে না, দুর্ঘটনা ঘটছে, শহরের গতি কমছে, সেই সাথে রাজ্যের আইডেন্টিটিও নষ্ট হচ্ছে। ফলে কে জেনুইন লোক সেটা ধরা যাচ্ছে না। তার ফলে রাজ্যের সেফটি এবং সিকিউরিটিও ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা থাকছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন ‘এই তো দেখলেন, কিছুদিন আগে বাংলাদেশের একজন এমপি, কিভাবে তাকে নিয়ে এসে প্ল্যান করে খুন করল।’ তার স্পষ্ট বক্তব্য রাজ্যের সেফটি এন্ড সিকিউরিটি নিশ্চিত করাটাই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে তার একমাত্র লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্যেই পশ্চিমবঙ্গের যত্রতত্র হকার বসতে না দেওয়ার চিন্তাভাবনা নিয়েছে রাজ্য সরকার।
বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকারের সচিবালয় নবান্নে হকার সমস্যার সমাধানের বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমসহ রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী, কলকাতার পুলিশ কমিশনার, প্রতিটি জেলার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, নিউমার্কেট সহ কলকাতার বিভিন্ন হকার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাজার কমিটির কর্মকর্তারা।
ওই বৈঠক থেকেই আলিপুর চিড়িয়াখানা চত্বরকে হকার মুক্ত করার আহ্বান জানিয়ে মমতা বলেন, ‘চিড়িয়াখানার পাশে যারা বসেছিল তারা ফুটপাতটা দখল করে নিয়েছে, পাশাপাশি রাস্তার মধ্যেও বসছিল। এতে দুর্ঘটনা ঘটবে, গাড়ি চলাচল করতে পারবেনা। যার জন্য ফুটওভার ব্রিজ করে দেওয়া হয়েছে।’ এসময় তিনি বলেন ‘লাখ লাখ লোক আসে চিড়িয়াখানায়। আমাকে তো সেফটি এবং সিকিউরিটিটাও দেখতে হবে। সবাই যে আসল লোক সেটা আপনি কি করে জানলেন? এই তো দেখলেন, কিছুদিন আগে বাংলাদেশের একজন এমপি, কিভাবে তাকে নিয়ে এসে প্ল্যান করে খুন করল। খড়্গপুরে গুলি চালিয়ে দিয়ে চলে গেল। এক্ষেত্রে আমি পুলিশও পরিবর্তন করতে পারছি না। কারণ বছরের প্রতিদিনই প্রায় নির্বাচন। সিস্টেমটাকেই ব্রেক করে দিচ্ছে।’
কলকাতার গ্র্যান্ড হোটেলের আর্কেডের হকার সমস্যা তুলে ধরে মমতা বলেন ‘কেউ যদি মনে করেন গ্র্যান্ডের সামনেই বসবো, তা চলবে না। ওখানে বড় বড় তারকারা আসেন। অনেক ভিআইপি আসেন। তারপর কিছু হলে দেখবেন এরাই কিছু করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সি এনআইএ পাঠাবে।’ হাতিবাগানের হকার সমস্যা ও উদযাপন করেন মমতা। তিনি বলেন ‘হাতিবাগানের রাস্তা নেই, রাস্তাটা দখল হয়ে গেছে, এতে আমাদের কাউন্সিলরদেরও দোষ আছে। তারা ভাবে দিয়ে দিলাম… রুপি নিলাম… মাসে চাঁদা পেলাম। এটা হবে না। ডাল, ভাত, মাছ, তরকারি খেয়ে কি সন্তুষ্ট হওয়া যাচ্ছে না?’