আলোর যুগ প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশিরা ভারতের ঝাড়খণ্ডে অনুপ্রবেশ করে সেখানকার জনমিতি বদলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের সমর্থন দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
মোদি বলেছেন, ‘সাঁওতাল পরগনায় আদিবাসীদের সংখ্যা দ্রুত কমছে। অঞ্চলটি দখল হয়ে গেছে। অনুপ্রবেশকারীরা পঞ্চায়েতের বিভিন্ন পদ দখলে নিয়েছে। মেয়েদের বিরুদ্ধে অপরাধ বেড়েছে। অনুপ্রবেশকারীদের কারণে ঝাড়খন্ডের প্রত্যেকে অনিরাপত্তায় ভুগছেন।’
ঝাড়খণ্ডের স্টিল সিটি হিসেবে পরিচিত জমশেদপুরে বিজেপির এক সমাবেশে দেওয়া বক্তৃতায় এই কথা বলেন তিনি। মোদি বলেন, বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ ঝাড়খণ্ডের জন্য বড় ধরনের হুমকি তৈরি করছে। রাজ্যের সাঁওতাল পরগনা ও কোলহান এলাকার জনমিতি বদলে যাচ্ছে।’
ভাষণে মোদি বলেন, বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীরা সাঁওতাল পরগনা ও কোলহান অঞ্চলের জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠেছে। এই দুই অঞ্চলের জনসংখ্যা দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। আদিবাসীদের সংখ্যা কমছে। অনুপ্রবেশকারীরা জমি দখল করছে, রাজ্যের নারীদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে এবং পঞ্চায়েতকে কব্জা করছে। ঝাড়খণ্ডের প্রত্যেক নাগরিক অনিরাপদ বোধ করছে।
প্রতিবেশী দেশের অনুপ্রবেশকারীরা রাজ্যের ক্ষমতাসীন দলের ওপর প্রভাব বিস্তার করছে বলেও অভিযোগ তোলেন মোদি। তিনি অভিযোগ করেন, ‘বাংলাদেশি আর রোহিঙ্গাদের পক্ষ নিয়েছে জেএমএম। অনুপ্রবেশকারী ও চরমপন্থীরা জেএমএম দখল করে নিচ্ছে। এটা ঘটছে; কারণ, জেএমএমের ওপর কংগ্রেসভূত ভর করেছে। কংগ্রেসের ভূত যখন কোনো দলের ওপর ভর করে, তখন সেই দলের অ্যাজেন্ডাই হয় তোষণ। এসব দল নিজেদের পক্ষে ভোট টানার জন্য ধর্মকে ব্যবহার করে।’