আলোর যুগ প্রতিনিধিঃ ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্স আইডিএফ উত্তর-পূর্ব লেবাননের বালবেকের কাছে হিজবুল্লাহ কম্পাউন্ডে বিমান হামলা চালিয়েছে। লেবাননের উত্তর-পূর্বঞ্চলীয় বালবেকের নিকটবর্তী সেফরি এলাকায় হিজবুল্লাহর একটি কম্পাউন্ডে রাতভর ইসরায়েলি বিমান হামলা চালায়। লেবাননের গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে- ইসরায়েলের চালানো হামলায় লেবাননের ৩ জন আহত হয়। বালবেক ইতোপূর্বে হিজবুল্লাহর শক্ত ঘাঁটি হিসাবে চিহ্নিত এবং অঞ্চলটি ইসরায়েল সীমান্ত থেকে মাত্র ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে- ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ) পূর্ব রাফায় প্রচারপত্র, মোবাইলে খুদে বার্তা, এবং আইভিআর ফোনকল ব্যবহার করে গাজাবাসীকে রাফাহ এলাকা খালি করার বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেছে। আইডিএফ ইতোমধ্যে অভিযান এলাকা চিহ্নিত করে ওই এলাকার একটি মানচিত্র প্রকাশ করেছে।
ইসরায়েল সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে- ‘ইসরায়েল সরকারের অনুমোদন পাওয়ার পর আইডিএফ হামাসের নিয়ন্ত্রণাধীন ফিলিস্তিনিদেরকে রাফার পূর্বাঞ্চলীয় এলাকা থেকে অস্থায়ীভাবে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।’ আহ্বানে আরো বলা হয়- ‘পরিস্থিতির চলমান মূল্যায়ন অনুযায়ী বিষয়টি ধীরে ধীরে অগ্রসর হবে। আল-মাওয়াসি এবং খান ইউনুস এলাকায় সম্প্রসারিত মানবিক অঞ্চলটিতে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের জন্য ফিল্ড হাসপাতাল, তাঁবু এবং অস্থায়ী শিবিরও এর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।’
এদিকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় সেনাদের ওপর রবিবারের প্রাণঘাতী রকেট হামলার পর দক্ষিণ গাজার সঙ্গে কেরেম শালোম ক্রসিং এখনো বন্ধ রয়েছে। তবে পরিস্থিতি সম্পর্কে নতুন মূল্যায়নের পর এটি খুলে দেয়া হতে পারে। সেনাবাহিনী বলছে, ক্রসিং বন্ধ থাকলেও তারা মানবিক ত্রাণ সরবরাহ একই মাত্রায় বজায় রাখার চেষ্টা করবেন। মধ্য গাজায় যুক্তরাষ্ট্রের ভাসমান জেটি নির্মাণের কাজ অব্যাহত থাকায় অন্যান্য ক্রসিংগুলি খোলা থাকবে। আইডিএফ গাজার সর্বত্র হামাসকে অনুসরণ করবে যতক্ষণ না তারা হামাসের হাতে অপহৃত সমস্ত জিম্মিদের ঘরে ফিরিয়ে আনছে।’
আইডিএফ জানিয়েছে, তাদের যুদ্ধবিমান পূর্ব দিক থেকে ইসরায়েলগামী একটি ড্রোনকে গুলি করে ভূপাতিত করেছে। পুরো ঘটনার সময় বিমানটিকে ট্র্যাক করা হয়েছিল এবং বেসামরিক লোকজনের জন্য এটি কোনো হুমকি হিসেবে ছিল না। তবে ড্রোনটি কোথায় ভূপাতিত করা হয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি। এদিকে ইরান সমর্থিত ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স ইন ইরাক দাবি করেছে, তারা রাতভর ইসরাইলের দিকে দুটি ড্রোন নিক্ষেপ করেছে, যার মধ্যে ইলাতের একটি ঘাঁটিসহ দুটি সামরিক অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। যুদ্ধের মধ্যেই ইরাক ও সিরিয়ায় ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীগুলো ইসরাইলে বেশ কয়েকটি ড্রোন হামলা চালিয়েছে। ইরান নিজেও গত মাসে শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরাইলে নজিরবিহীন হামলা চালিয়েছে।