আলোর যুগ প্রতিনিধিঃ ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য ত্রাণ ও কর্ম সংস্থানে কাজ করা জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ সতর্ক করেছে যে, পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের সামরিক অভিযান ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতিকে উদ্বেগজনক পর্যায়ে বাড়িয়েছে। যার ফলে ওই এলাকার ৭৬ হাজারের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সোমবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, ইসরায়েলের তথাকথিত “লোহার প্রাচীর” সামরিক অভিযানের ফলে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শরণার্থী শিবির প্রায় সম্পূর্ণরূপে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ইউএনআরডব্লিউএ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ক্রমবর্ধমান জোরপূর্বক এবং বিপজ্জনক জীবনযাত্রার কারণে পরিস্থিতি “বিপজ্জনক গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে” বলে বর্ণনা করেছে সংস্থাটি। ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, “ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলা, সাঁজোয়া বুলডোজার, নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ এবং উন্নত অস্ত্রের ব্যবহার সাধারণ হয়ে উঠেছে।”
সংস্থাটি পুনর্ব্যক্ত করেছে, “সর্বদা বেসামরিক এবং বেসামরিক অবকাঠামো রক্ষা করতে হবে এবং সম্মিলিত শাস্তি কখনই গ্রহণযোগ্য নয়।” ২১শে জানুয়ারি থেকে ইসরায়েলি সরকার উত্তর পশ্চিম তীরের জেনিন, তুলকার্ম এবং তাম্মুনে সামরিক অভিযান চালিয়ে আসছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যার ফলে ৩০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
জেনিন শরণার্থী শিবিরে শুরু হওয়া এই অভিযান এখন তৃতীয় সপ্তাহে পৌঁছেছে। যা দ্বিতীয় ইন্তিফাদার পর পশ্চিম তীরে দীর্ঘতম সামরিক অভিযান।জাতিসংঘের সংস্থাটি জানিয়েছে, এই অভিযান তুলকার্ম, নুর শামস এবং ফারা শরণার্থী শিবিরেও ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে প্রায় ৭৬ হাজার ৬০০ ফিলিস্তিনি শরণার্থী বাস করেন।