Monday, December 15, 2025
Homeজাতীয়পটুয়াখালীর ৪৪ জলমহাল ইজারা যোগ্য নয়: ভূমি উপদেষ্টা

পটুয়াখালীর ৪৪ জলমহাল ইজারা যোগ্য নয়: ভূমি উপদেষ্টা

আলোর যুগ প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর ৪৪টি জলমহাল ইজারা যোগ্য নয় উল্লেখ করে ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনীতি, জীববৈচিত্র্য ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবিকা রক্ষায় জলমহাল একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদ। তিনি আরও বলেন, নদী, হাওর, বাঁওড়, বিল ও খাল এসব জলমহাল কেবল মাছ উৎপাদনের উৎস নয়; বরং স্থানীয় মানুষের কৃষিকাজ, খাদ্যনিরাপত্তা, কর্মসংস্থান এবং পরিবেশগত ভারসাম্যের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারের সুপারিশের প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সিনিয়র সচিব এ. এস. এম. সালেহ আহমেদের সভাপতিত্বে ‘উন্নয়ন প্রকল্পে সরকারি জলমহাল ইজারা প্রদান সংক্রান্ত কমিটির ৮৮তম সভা’য় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, পটুয়াখালীর এসব জলমহালের পানি প্রবাহমান এবং স্লুইজ গেট ও বাঁধ রয়েছে। বাঁধগুলো যেন সুনিয়ন্ত্রিত হয় সে ব্যাপারে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা তদারকি করবেন। ইজারা বহির্ভূত এসব জলমহাল হতে যে কেউই মাছ ধরা এবং সেচের জন্য পানি নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের পেশি শক্তির প্রভাব গ্রহণযোগ্য হবে না। সর্বোপরি যে উদ্দেশ্যে এসব জলমহালের ইজারা বাতিল বা বন্ধ করা হলো তা যেন ব্যাহত না হয়।

তিনি আরও বলেন, জলমহাল কোনো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়, এটি জনগণের। সুতরাং জনস্বার্থ, পরিবেশ সংরক্ষণ ও দরিদ্র মানুষের জীবিকা রক্ষার স্বার্থে জলমহাল ইজারা ব্যবস্থা বন্ধ করে একটি মানবিক, ন্যায়ভিত্তিক ও টেকসই ব্যবস্থাপনার দিকে রাষ্ট্রকে এগোতেই হবে। আগামী তিন বছর এই প্রক্রিয়া মনিটরিং করা হবে যে, এর উদ্দেশ্য সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না; যদি ব্যাহত হয় পরবর্তীতে এ ব্যাপারে নতুন করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। উল্লেখ্য, জেলায় মোট ১৪৮ টি জলমহাল রয়েছে, এর মধ্যে জনস্বার্থে ৪৪টি জলমহাল ইজারা যোগ্য নয় মর্মে একটি মামলা রয়েছে, ৯৪ টির ইজারা প্রক্রিয়াধীন। ৯টির ইজারা চলমান রয়েছে।

সভায় অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. রায়হান কাওছার, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. এমদাদুল হক চৌধুরী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার অনলাইনে যুক্ত ছিলেন। পরে ‘হাওর ও জলাভূমি সংরক্ষণ আইনে’র বিষয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার উপস্থিত ছিলেন।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments